জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না মন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন মমতা
বিশেষ প্রতিনিধি : আর জি কর কান্ড এবং জুনিয়র ডাক্তারদের কর্ম বিরতি নিয়ে কোনরূপ মন্তব্য করা যাবে না বলে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় মুখপাত্র এবং মন্ত্রীদের জানিয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, তিনি জানিয়েছেন, এই আন্দোলনের বিষয়ে যা বলার তিনিই বলবেন। মন্ত্রীদের শুধুই নিজের এলাকায় কাজে মন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের মুখপাত্রদেরও এই বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য বার্তা দিয়েছেন নেত্রী। তবে দলীয় মুখপাত্রদের ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ শুধু মঙ্গলবারের জন্য।
মঙ্গলবার আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ছ’দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ছ’দফা দাবি মেটানো না হলে এই অবস্থান চালিয়ে যাবেন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল। এই আবহে মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মন্ত্রীদের এই আরজি কর-কাণ্ড, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং সাধারণ মানুষের আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলতে বারণ করে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যা বলার, তিনিই বলবেন। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাউকে কিছু বলতে হবে না। কেউ মুখ খুলবেন না। পুজো আসছে নিজ নিজ এলাকায় থেকে কাজে মন দিতে বলেছেন। এলাকার পরিবেশ, পরিস্থিতি যাতে ভাল থাকে, সে দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এ-ও জানিয়েছেন, কোনও কোনও এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস মিলেছে। সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে মন্ত্রীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কে কী বলছে, তাতে কান দিতে বারণ করেছেন।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি নিয়ে ইতিমধ্যে শাসকদলের নেতা, রাজ্যের মন্ত্রীদের একাংশ মুখ খুলেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিবাল সুপ্রিম কোর্টে এই দাবিই করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই কর্মবিরতির কারণে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা পাঁচ দফা দাবির পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফা চেয়েছেন। তাঁরা দাবি করছেন, ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে।