রাত দখলের কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে মহিলার যৌন হেনস্থার অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ
বিশেষ প্রতিনিধি : রাত দখলের কর্মসূচি থেকে ফেরার সময়ে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল রাস্তায়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুরে।
রবিবার রাতে শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন কুমিরজলা রোডে একটি মাছের আড়তে গণেশ পুজো উপলক্ষে জলসা হচ্ছিল। ওই এলাকার এক মহিলা বাসিন্দার অভিযোগ, তিনি আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রাত দখলের কর্মসূচি সেরে অভিযোগ বৈদ্যবাটি থেকে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে ওই মাছের আড়তের পাশে তারস্বরে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান চলছিল। তিনি লাউডস্পিকারের শব্দ কমানোর জন্য উদ্যোক্তাদের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেননি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যে শিল্পী গান করছিলেন তাঁর থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করার কথা যান ওই মহিলা। তখন তাঁকে ঘিরে ধরেন কয়েক জন। গালাগালি দিতে দিতে তাঁর গায়ে হাত তোলা হয় এবং ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন শ্রীরামপুর- উত্তর পাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি এবং শ্রীরামপুর মৎস্য আড়তদার উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক ইন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। রবিবার রাতেই শ্রীরামপুর থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। সোমবার অভিযোগকারিণী বলেন, ‘‘আমি পেশায় আইনজীবী। রবিবারের পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে শ্রীরামপুর থানার অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
ওই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন ইন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, ‘‘উনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। প্রতি বছর মাছের আড়তে গণেশ পুজো হয়। পুলিশের অনুমতি নিয়ে নানা অনুষ্ঠান হয়। গতকাল (রবিবার) ‘ফাংশন’ হচ্ছিল। শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। যিনি এই অভিযোগ করছেন, তিনি আমার মেয়ের মতো।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওঁর হয়তো মনে হয়েছে যে এখন একটা শোকের আবহ চলছে। তাই অনুষ্ঠানে আপত্তি জানান। আমরাও অনুষ্ঠান শুরুর আগে আরজি করের ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছি। তা ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষও করেছি। তার পরেও কেন এই অভিযোগ করা হল, সেটা আমার জানা নেই।’’