অভিনয়ের দৃশ্য বোঝাচ্ছিলেন সবটাই অনিচ্ছাকৃত দাবি অরিন্দমের
বিশেষ প্রতিনিধি : আর জি কর মেডিকেল কলেজের অভ্যন্তরে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সমগ্র দেশ জুড়ে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে। বাংলার গ্রাম থেকে শহর যেন জেগে উঠেছে। এরই মাঝে বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পরিচালক অরিন্দম শীলকে নিয়ে নতুন বিতর্ক দানা বেধেছে। তিনি এক অভিনেত্রীকে অভিনয় এর শর্ট বোঝানোর জন্য কোলে বসিয়ে চুমু খেয়েছেন এই অভিযোগে রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই অভিনেত্রী।
এই যৌন হেনস্তার প্রতিবাদ করেছেন ওই অভিনেত্রীর একই সঙ্গে ছবিটার চেয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপরেই দেখা যায় অরিন্দম শীলকে টলিউডের ডিরেক্টার গিল্ড থেকে বহিষ্কার করা হয়। মহিলা কমিশন অভিযোগকারীনি এবং অভিযুক্তকে দফতরে তলব করে। এই দুজনের সঙ্গে মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান কি কথা বলেছেন তার সবটা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত না হলেও কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অরিন্দম শীল যা বলেছেন তা হলো তিনি অনিচ্ছাকৃতভাবে এ কাজটি করেছেন। অরিন্দম জানিয়েছেন, গত মে মাসে তাঁর পরের ছবির শুটিং হচ্ছিল। দৃশ্যটি ছিল— নায়িকাকে তাঁর কোলে বসিয়ে কাছে টেনে চুমু খাবেন অভিনেতা। চিত্রনাট্যে লিপলকের কথা লেখা ছিল। তাতে অভিনেতা স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। অরিন্দমের দাবি, অভিনেতা নিমরাজি থাকায় তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, লিপলকের দরকার নেই।
অরিন্দম জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ছবির দুই শিল্পীকে শট বোঝাচ্ছিলেন। তিনি ফ্লোরে এমনটা করেই থাকেন। শিল্পীদের শট ও কম্পোজিশন অভিনয় করে দেখিয়ে দেন। সেভাবেই ওই অভিনেত্রীকে বলেছিলেন তাঁর কোলে বসার জন্য। অরিন্দমের দাবি, তিনি এও বলেছিলেন যে, ভিতর দিকে বসতে হবে না, হাঁটুর উপর বসুক। তার অভিনেত্রী মুখটা ভিতরে ঢুকিয়ে রাখবেন, যেন অভিনেতার ক্লোজ হচ্ছেন। এই দৃশ্য দেখাতে গিয়ে তাঁর মুখটা অভিনেত্রীর গালে ছুঁয়ে যায় বলে দাবি অরিন্দমের।
অরিন্দম শীল আরেকটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,“ওই অভিনেত্রী এবং আমাকে মহিলা কমিশনে ডাকা হলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে যা হয়েছে তা একেবারেই অনিচ্ছাকৃত। অভিনেত্রীর খারাপ লাগলে ক্ষমা চাইছি। কোনও মহিলাকে অপমান করার উদ্দেশ্য ছিল না”। অরিন্দম জানিয়েছেন, তাঁকে কমিশনের তরফে লিখিত দিতে বলা হয়েছিল। তিনি রাজি হয়ে যান। কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে বলেন, অনিচ্ছাকৃত শব্দটি লেখা যাবে না। তাতেও রাজি হয়ে যান তিনি।
অরিন্দম আরও বলেন, ডিওপি থেকে ফ্লোরে সবাই ছিলেন। সবাই দেখেন। সাহেব চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য অসৎ ছিল না।