পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা অবস্থান বিক্ষোভ উঠলেও কর্ম বিরতি ও ধর্না কর্মসূচি চলবে
বিশেষ প্রতিনিধি : পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেড় ঘন্টা বৈঠক হওয়ার পর আন্দোলন তুলে নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। না আন্দোলন তোলার কথা নয় রাস্তা অবরোধ তোলার কথা জানিয়ে দেয়। গতকাল থেকে যে আন্দোলন বা লালবাজার অভিযান করতে গিয়ে আসছি আসছি ফিয়াস লেন এবং বেন্টিং স্ট্রিটে যে অবস্থান বিক্ষোভ করছিল জুনিয়র চিকিৎসকরা তা প্রত্যাহার করা হয়। তবে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা সেরে বেরিয়ে আসার পর বাইশ জনের প্রতিনিধিরা একবাক্যে স্বীকার করেন তাদের এই বৈঠকে কোন লাভ হয়নি। পুলিশ কমিশনার যে বক্তব্য রেখেছেন তার সঙ্গে তারা সহমত নন। আন্দোলনকারীরা মনে করেন আরজি করের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতা রয়েছে। আর এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারকে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন প্রতিনিধিরা। পুলিশ কমিশনার এই প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, তিনি তার কাজে সন্তুষ্ট। যদি কর্তৃপক্ষ মনে করেন তার কাজ সন্তোষজনক নয়, তাহলে সরিয়ে দিতে পারেন।
লালবাজার থেকে বেরিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, “১৪ তারিখ ও ১২ তারিখের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁরা স্বীকার করেছেন, এটি পুলিশি ব্যর্থতা। কিন্তু আলোচনার কোনও সদুত্তর আমরা পুলিশ কমিশনারের থেকে পাইনি। আমরা আমাদের দাবিতে এখনও অনড়। নৈতিক দায় নিয়ে সিপির পদত্যাগ করা উচিত বলে আমরা মনে করি।” প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নিলেও বিচারের দাবিতে আন্দোলন একই ভাবে চলবে।
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদল বলে, “পুলিশ কমিশনারকে আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি এই ঘটনায় নৈতিক দায়ভার নিচ্ছেন কি না। জবাবে সিপি জানিয়েছেন, তিনি নিজের কাজে সন্তুষ্ট। তবে যদি তাঁর কোনও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মনে করেন, তিনি নিজের কাজে ব্যর্থ এবং তাঁকে যদি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়— সেটিও তিনি হাসিমুখে মেনে নেবেন।” আন্দোলনকারীরা আরও জানান, যে প্রতীকী শিরদাঁড়াটি তাঁরা লালবাজারে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটিও দিয়ে এসেছেন।
তবে কলকাতা পুলিশ জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয়েছিল। কারণ কলকাতা পুলিশের দাবি ছিল বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের বাইরে তাদেরকে এক পা এগোতে দেয়া যাবে না কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুনিয়ার চিকিৎসকদের অনড় মনোভাবের ফলে বেণ্টিং স্ট্রীট পর্যন্ত তাদেরকে যেতে দিতে বাধ্য হয় কলকাতা পুলিশ। এর ফলে পুলিশকে পিছু হটতে হলো বলে অনেকেই মনে করছেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা এদিন বলেন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা মত তারা অবরোধ তুলে নিচ্ছেন কিন্তু কর্ম বিরতি এবং আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।