দেশ 

রাজ্য বিজেপি মমতা সরকারের বরখাস্তের দাবি জানালেও, আরএসএস বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের বিরোধী!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মমতা সরকারকে বরখাস্ত করার দাবী জানালেও এই দাবির স্বপক্ষে নয় আরএসএস। আর জি করের ঘটনা নিয়ে গোটা দেশ যখন উত্তাল সমগ্র দেশ জুড়ে মমতা প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে চর্চা হচ্ছে । কেন্দ্রীয় স্তরের বিজেপির কয়েকটি ছোট ছোট নেতা যখন মমতা সরকারকে অহেতুক আক্রমণ করে চলেছেন ঠিক সেই সময়ই মুখ খুলল আরএসএস।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দাবি যে ঘটনাটা নিন্দনীয় হলেও পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে নীতিগতভাবে তাদের আপত্তি রয়েছে। কারণ সঙ্ঘের মতে, এতে ভুল বার্তা যাবে।

Advertisement

আজ মঙ্গলবার কেরলের পালাক্কাড়ে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে তিন দিনের সম্মেলন শেষ হয়। ওই সম্মেলনে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, নারী সুরক্ষা, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপির একটি অংশ পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলে সরব রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে অন্তত এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে নয় সঙ্ঘ। সঙ্ঘ নেতাদের মতে, জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি কাম্য নয়। সঙ্ঘ মনে করছে, এতে গণতন্ত্রের পক্ষে ভুল বার্তা যেতে পারে।

আজ সম্মেলন শেষে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও সঙ্ঘের জাতীয় মুখপাত্র সুনীল অম্বেকর জানান, ‘‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে কি না, তা সরকারের বিষয়। কিন্তু নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন কায়েম করা হলে তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আখেরে দুর্বল করে দেবে। আরএসএস মনে করে, রাজ্য সরকারেরই উচিত দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ করা।’’ তাদের যুক্তি, রাষ্ট্রপতি শাসনের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া।

সাংবাদিক সম্মেলনে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিষয়বস্তু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আরএসএস। তাদের মতে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিতে এমন সব বিষয়বস্তু সম্প্রচারিত হচ্ছে, যা সমাজে ক্ষয় ধরাচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয় রুখতে এ ধরনের বিষয়বস্তু রুখতে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে আরএসএস।

এতদিন ধরে বামপন্থীরা দাবি করে আসছিলেন তৃণমূলের সঙ্গে আরএসএসের গোপন সমঝোতা রয়েছে সেটা আজকের ঘটনায় প্রমাণিত হয়ে গেল বলে, রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের মত। আবার অন্য অংশের মত হচ্ছে যেহেতু বিজেপি এই রাজ্যে মমতার বিকল্প কোন নেতার সন্ধান পায়নি তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তাদের গতি নেই। এদিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে যেভাবে আরএসএস মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদাররা যতই চিৎকার করুক না কেন মমতা যেখানে ছিলেন সেখানেই থাকবেন। ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরএসএস-এর আশীর্বাদ নিয়ে পুনরায় যে নির্বাচিত হয়ে আসবেন সে নিয়েও কোন সন্দেহ নেই।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ