কলকাতা দেশ 

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে কী হলো সুপ্রিম কোর্টে? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি: আর জি কর মেডিকেল কলেজের ভেতরে ডাক্তারি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর খুন করার ঘটনা নিয়ে সমগ্র দেশ উত্তাল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসকদের কর্ম বিরতির ফলে লাটে উঠেছে হাসপাতালের পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ আদালত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি করার পর আজ তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল সিবিআই কে আর কলকাতা পুলিশকে আরজি করে হামলা নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিল। সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পর বেশ কিছুক্ষণ ধরে শুনানি চলে। সরকারপক্ষ এবং সিবিআই এর পক্ষ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর কি কি সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট তা এক নজরে দেখা যাক।

অবিলম্বে কর্মবিরতি তুলে নিয়ে হাসপাতাল পরিষেবাতে যোগ দিন ডাক্তারদের আহ্বান জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্বয়ং। আর কি করেন জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এ কথা শোনার পর প্রধান বিচারপতি বলেন,কে এমন কাজ করেছেন? তাদের নাম বলুন আমরা ব্যবস্থা নেব। অন্যদিকে এফআইআর করতে কেন দেরি হয়েছে তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা।

Advertisement

আজকে শেষ থেকে এবং শুরু পর্যন্ত যা যা হয়েছে এক নজরে তা আমরা খুব সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।

চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের পরামর্শ শুনতে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক, পড়ুয়াদের পরামর্শ শুনবে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক, পড়ুয়াদের পরামর্শ শুনবে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে একটি পোর্টাল খুলতে বলা হয়েছে। সেখানে পরামর্শ জানানো যাবে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “১৩ দিন ধরে এমসের চিকিৎসকেরা কাজ করছেন না। তাঁদের বলব, দয়া করে কাজে ফিরুন। আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না আমরা তা নিশ্চিত করব।”

সিবিআইকে ফের স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে জমা দিতে হবে

আরজি কর মামলায় জোড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সিবিআইকে ফের মুখবন্ধ খামে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে তাদের।

 রাজনীতি করবেন না অনুরোধ শীর্ষ আদালতের

রাজ্যের তরফে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে জানানো হয় যে, অ্যাসিড বোমা ব্যবহার করার কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রধান বিচারপতি বলেন, “আইন নিজের পথে চলবে। আমরা বলে দিয়েছি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বাধা দেওয়া যাবে না।” সব পক্ষের উদ্দেশে তাঁর সংযোজন, “আপনারা যদি এ সব পাবলিসিটি ইন্টারেস্ট লিটিগেশন ফাইল বন্ধ করেন, মিডিয়া ট্রায়ালও বন্ধ হয়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, জনস্বার্থ মামলাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন’। প্রচার পাওয়ার জন্য মামলা রুজু করার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পাবলিসিটি ইন্টারেস্ট লিটিগেশন’।

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন বললেন বিচারপতিরা

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে আদালত উদ্বেগপ্রকাশ করার পরেই রাজ্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের নেতার বিরুদ্ধে কোনও কথা বললে আঙুল কেটে দেব।” রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল পাল্টা বলেন, “আপনাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন গুলি চালিয়ে দেব।” দুই পক্ষের বাগ্‌যুদ্ধ দেখে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।”

আগামীকাল পাঁচটার মধ্যে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে নির্দেশ দেবে শিয়ালদা আদালত নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের 

পলিগ্রাফ পরীক্ষার জন্য যে আবেদন করা হয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে সেটি বিবেচনা করতে হবে শিয়ালদহ এসিজেএমকে। বৃহস্পতিবার আরজি কর মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আরজি কর-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তের পলিগ্রাফ পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। ধৃতের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার শিয়ালদহ আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে সেখানে হাজির করানো হয়নি তাঁকে। মিথ্যা যাচাইয়ের এই পরীক্ষা করাতে আদালতের ছাড়পত্র লাগে। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর জন্য সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে আবেদন করে।

পরবর্তী শুনানি ৫ই সেপ্টেম্বর।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ