আগামী মাস থেকেই আদমশুমারি প্রক্রিয়া করতে চলেছে মোদি সরকার!
বিশেষ প্রতিনিধি : রাহুল গান্ধীর আহব্বানে শেষ পর্যন্ত জনগণনা অর্থাৎ আদমশুমারি প্রক্রিয়া করতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। মোদির জামানায় এই প্রথম দেশ জুড়ে জনগণনা হচ্ছে এর আগে ডঃ মনমোহন সিং এর আমলে ২০১১ সালে শেষ আদমশুমারি হয়েছিল। এই প্রক্রিয়া আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে চালু হবে চলবে ২০২৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই সময়কালের মধ্যে দেশের সার্বিক জনগণনা রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
প্রথা অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১১-র পর এ দেশে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার থাকলেও করোনা অতিমারীর জেরে সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে জনগণনা হতে পারে। কিন্তু ভোটের আগে সে পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। সব মিলিয়ে মোদি জমানায় একবারও জনগণনা হয়নি। তাতে সরকারের অন্দরে নানা ধরনের প্রশ্নও উঠছিল। ১৮৭২ সালে শুরু হওয়া আদমশুমারি রীতি মেনে প্রতি প্রতি ১০ বছর অন্তর হয়। কিন্তু মোদি সরকার আসার পর এখনও পর্যন্ত জনগণনা হয়নি। আর এতেই রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা।
অর্থনীতিবিদদের একটা অংশ বলছে, এখনও পর্যন্ত মোদি সরকার যাবতীয় যা যা কর্মসূচি নিচ্ছে বা পরিকল্পনা করছে সবটাই সেই ২০১১ সালের তথ্যের উপর ভর করে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদেরও। তাছাড়া সরকারের ব্যয় বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বস্তুত জনগণনার দাবিতে সরকারের অন্দরেও চাপ বাড়ছিল। অবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে। এমনটাই দাবি করেছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স। সরকারি সূত্রের খবর, মোটামুটিভাবে দেড় বছরের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ বছর বাদে জনগণনার তথ্য প্রকাশ্যে আসতে চলেছে।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে জাতিগত জনগণনার দাবি তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। যার প্রভাব পড়েছে হিন্দি বলয়ে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে ভালোমতো ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। রাহুল এখনও জাতিগত জনগণনার দাবি জোরালভাবে জানিয়ে যাচ্ছেন। সরকার জনগণনার সময় জাতির উল্লেখ করে কিনা সেটাই দেখার।