গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়
বিশেষ প্রতিনিধি : আরজিকর কাণ্ড নিয়ে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। আর এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক যার জন্য লালবাজার একবার নয় দু দুবার তলব করেছে রাজ্যসভার সাংসদকে। লালবাজারের তলব সত্বেও হাজির তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এবার তিনি গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।রক্ষাকবচের আবেদন করেছেন তিনি। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে।
তৃণমূল সাংসদ কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পক্ষে দাবি জানিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। এছাড়া আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ করে একাধিক প্রশ্নও তুলেছিলেন। তারপরই ঘটনাচক্রে তাঁকে লালবাজার তলব করে। যদিও পরপর দু’বার তলবেও সুখেন্দু শেখর সাড়া দেননি। তাই তিনি এখন গ্রেফতার হতে পারেন এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। সোমবার তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।
মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়া ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছেন সুখেন্দু। এর আগে বক্তব্য ছিল, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় দেশের অনেক জায়গাতেই এমন পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে, ঘটেও। তা যাতে ভবিষ্যতে আর না হয় সেজন্য আরও কঠোর আইন আনা জরুরি। শনিবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, দলের বর্ষীয়ান এই নেতা তথা সাংসদের এমন আচরণে অস্বস্তি বেড়েছে শাসক শিবিরের।
।