রাম মন্দির যাওয়ার ভক্তি পথ থেকে উধাও কয়েক হাজার বাতি
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাম মন্দির এলাকায় কত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি থাকা খাওয়ার পর এবার একের পর এক অঘটন ঘটে চলেছে। আসলে দেশের তিন শংকরাচার্যের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে যেভাবে রাম মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল তাতেই গলদ ছিল বলে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করছে। তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাম মন্দির নির্মাণ হলে ও তা থেকে বৃষ্টির জল পড়ছে। এই সমস্যার কথা অনেকেই জানেন কিন্তু এবার যে সমস্যার মাথাচাড়া দিয়েছে রাম মন্দির চত্বরে যা কথায় অভূতপূর্ব বলা যেতে পারে।
রাম মন্দির সংলগ্ন এলাকায় চোরের উৎপাতে কি কি বিরক্ত হয়ে উঠেছে নাগরিক সমাজ।রামমন্দিরকে ঘিরে বিরাট আড়ম্বর ও অর্থযজ্ঞের মাঝে মন্দির কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে বেলাগাম চুরি। এবার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি গেল অযোধ্যার ভক্তিপথ থেকে।
জানা গিয়েছে, রামমন্দির যাওয়ার পথে রাস্তার দুধারে বাঁশের কারুকাজ করা বাতিস্তম্ভের সঙ্গে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা সেই বাতিস্তম্ভের প্রায় ৪ হাজার আলো চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এটাই শেষ নয়, রাম পথের পাশাপাশি ভক্তিপথ (Bhaktipath) থেকে চুরি হয়েছে গোবো প্রজেক্টর। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বেশি জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, রাস্তার দুই পাশে ৩৮০০টি বাতিস্তম্ভ থেকে আলো চুরি হয়ে গিয়েছে। এবং ৩৬টি গোবো প্রজেক্টর চুরি গিয়েছে এক রাতের মধ্যে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা। ‘অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথারিটি’এই লাইট ও প্রজেক্টর লাগানোর বরাত দিয়েছিল ‘যশ এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘কৃষ্ণা অটোমোবাইলকে।’ এই দুই সংস্থা মিলিতভাবে রামপথে ৬৪০০টি বাঁশের কারুকাজ করা লাইট এবং ভক্তি পথে ৯৬টি গোবো প্রজেক্টর লাগিয়েছিল। তবে এভাবে তা চুরি হয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, প্রবল বিতর্কের মাঝেও ভোট মাথায় রেখে তড়িঘড়ি রামমন্দির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই তাড়াহুড়োর ফল ভুগতে হয় মন্দিরকে। উদ্বোধনের পর প্রথম বর্ষায় ছাদ চুঁইয়ে জলে ভরে যায় রামলালার গর্ভগৃহ। সম্প্রতি মন্দিরের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার ঘটনাতেও কম বিতর্ক হয়নি। বিতর্কে মোড়া রামমন্দির চত্বরে এবার চোরের উৎপাতে উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ।