কলকাতা 

আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কি সিভিক ভলেন্টিয়ার জড়িত? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিরক্তি প্রকাশ কমিশনারের কেন?

শেয়ার করুন

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে ধৃত ব্যক্তি নাকি সিভিক ভলান্টিয়ার? তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন পুলিশ কমিশনার।

শনিবার দুপুরে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করলে জবাবে পুলিশ কমিশনার বললেন, ‘‘আমাদের কাছে তার পরিচয় এক জন সর্বোচ্চ পর্যায়ের অপরাধী।’’ তার পরেও সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করেছিল, ধৃতের পরিচয় তা হলে কী? তাঁর পেশা কী? পুলিশ কমিশনার প্রতি বারই সেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। শেষ দিকে তাঁকে দৃশ্যতই ‘বিরক্ত’ এবং খানিকটা ‘উত্তেজিতও’ শুনিয়েছে। কিন্তু লক্ষণীয় হল, তিনি কোনও বারই ‘না’ বলেননি। যা নিয়ে পুলিশেরই একাংশে প্রশ্ন উঠেছে। অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসারেরা বলছেন, ধৃত ব্যক্তি যদি সিভিক ভলান্টিয়ার না হন, তা হলে সেটা স্পষ্ট করে বলে দিতে পারতেন পুলিশ কমিশনার। কিন্তু তা না-বলে জবাব এড়িয়ে গিয়ে তিনি বিষয়টিকে পরোক্ষে ‘বৈধতা’ দিয়ে দিলেন না তো?

Advertisement

প্রসঙ্গত, পুলিশ কমিশনার বলেছেন, তাঁরা পরিপূর্ণ ‘স্বচ্ছত‌া’ রেখে গোটা ঘটনার তদন্ত করছেন। কিন্তু তাঁর বাহিনীরই একাংশ মনে করছেন, ধৃতের পেশাগত পরিচয় এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে ‘অস্বচ্ছতা’ তৈরি হয়েছে। কারণ, তিনি বার বার একই কথা বলে গিয়েছেন, “আমাদের কাছে ওই ব্যক্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ের অপরাধী। তিনি যা-ই হোন না কেন, আমাদের কাছে তাঁর পরিচয়— তিনি এক জন অপরাধী।” যদি অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার না হন, তা হলে তাঁর পেশা কী? সেই প্রশ্নেরও সদুত্তর মেলেনি। ভ্রুকুঞ্চিত জবাব এল, “সেটা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত ওই ব্যক্তির পরিচয়, শুধুই অপরাধী।” বস্তুত, পুলিশ কমিশনারের বিরক্তি দেখে ঘটনাপ্রবাহের ‘রাশ’ হাতে নেন তাঁর পাশে বসা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা এমন কোনও প্রশ্ন করবেন না, যাতে তদন্ত ব্যাহত হয়।’’

পুলিশ কমিশনারের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে ধৃত ব্যক্তি আসলে সিভিক ভলেন্টিয়ার। কারণ প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার সিভিক ভলেন্টিয়ার নয় এ কথা বলেন নি। আর এ থেকে এটাই স্পষ্ট গভীর রাতে আর জি কর মেডিকেল কলেজে ঢুকে যাওয়াটা তার পক্ষে কঠিন ছিল না। সিভিক ভলেন্টিয়ার হওয়ার কারণে ওই ব্যক্তি গভীর রাতে হাসপাতালে সেমিনার কক্ষে ঢুকে যেতে পেরেছিলেন। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে আদৌ কি নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার পাবে। পুলিশ কমিশনার আস্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত কি হবে তার স্পষ্ট নয়। তথ্যসূত্র ডিজিটাল আনন্দবাজার।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ