জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মাসে মাসে ১০ লাখ টাকা করে দিতেন আনিসুর ও আলিফ নূর! দাবি ইডির
বাংলার জনরব ডেস্ক : ইডির হাতে গ্রেফতার উত্তর চব্বিশ পরগনার তৃণমূল নেতা মুকুল রহমান এর কাছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কয়েক কোটি টাকা রেখেছিলেন তার সুদ বাবদ মাসে মাসে ১০ লাখ টাকা করে নিতেন। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আছে যখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হন। তারপর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তার মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক এর হাতে। একটি চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠি কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে পৌঁছে যায়। তা থেকে জানা যায় ওই চিঠিতে মুকুল রহমান ওরফে আলিফ নুর এর কাছ থেকে সুদ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েকে লেখা ওই চিঠিতে মুকুলের নাম নিয়েছিলেন বালু। ছিল শাহজাহান এবং ডাকুর নামও। পরবর্তী কালে শাহজাহান শেখ এবং শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করা হয়। এই শঙ্করই ‘ডাকু’ নামে পরিচিত বলে জানা যায়।
ইডির বক্তব্য, ১০ লক্ষ টাকা যদি মাসিক সুদই হয়, তবে মূল টাকা কত? তারও হিসাব কষার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। নথিতে দাবি, সাধারণ ভাবে কোনও ফিক্সড ডিপোজ়িট অ্যাকাউন্টে গড়ে ছয় শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ দেওয়া হয়ে থাকে। সেই হিসাব ধরলে মূল টাকার পরিমাণ হতে পারে ২০ কোটি পর্যন্ত। অর্থাৎ, ছয় শতাংশ সুদ ধরলে ২০ কোটি টাকার সুদের মূল্য হয় ১০ লক্ষ। ইডির অনুমান, রেশন দুর্নীতির টাকাই বালু জমা রেখেছিলেন মুকুলের কাছে। মাসে মাসে সেই সুদ পৌঁছে যেত বালু এবং তাঁর পরিবারের কাছে। এই লেনদেনের ইঙ্গিত ইডি পেয়েছে জ্যোতিপ্রিয়ের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) শান্তনু ভট্টাচার্যের দফতর থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতেও। জ্যোতিপ্রিয়ের পাশাপাশি আনিসুর এবং মুকুলেরও সিএ শান্তনু।
ইডি সূত্রে খবর, নগদ ৯৪ লক্ষ টাকা আনিসুর এবং তাঁর ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়েছিলেন বালু। পরে সেই টাকা ব্যাঙ্কে রাখা হয়। এর পর দ্বিতীয় দফায় আরও ৭০ লক্ষ টাকা বালুকে দেন দুই ভাই। এ ভাবে দুই দফায় মোট ১.৬৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। যদিও প্রাথমিক ভাবে জেরায় এই লেনদেনের কথা স্বীকার করেননি আনিসুর বা তাঁর ভাই।