আন্তর্জাতিক 

বাংলাদেশ নিয়ে মমতার মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ বাংলাদেশের! মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। একইসঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন প্রতিবেশী দেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গে এলে তাকে তিনি ফেরাবেন না। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের যে নীতি আছে যে কোন অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ছেড়ে রিফিউজিরা বা উদ্বাস্তুরা অন্য কোন দেশে আসতে চাইলে সে ক্ষেত্রে মানবিকতার খাতিরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য কে ঘিরে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

বাংলাদেশ সরকারের দাবি, মমতার কথায় ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, তাঁর ওই বক্তব্যের জেরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।’’ পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, এ ব্যাপারে ভারত সরকারকে ‘নোট’ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বাংলাদেশ নিয়ে মমতার মন্তব্যকে ঘিরে সরব রাজনীতি। সোমবার বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছিলেন, অনুপ্রবেশকে বৈধতা দিতে চাইছেন মমতা। এই ধরনের বিষয়গুলি নিয়ে পদক্ষেপের সম্পূর্ণ এক্তিয়ার শুধু ভারত সরকারের রয়েছে। এ প্রসঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর উল্লেখও করেছিলেন রবিশঙ্কর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর কথা বিকৃত করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তিনি মানবিকতার খাতিরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়মের কথা উল্লেখ করেছিলেন।

অন্য দিকে, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্যের রিপোর্ট তলব করেছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার তাঁর দফতরের মিডিয়া সেলের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে রাজভবনের ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’-র একটি পোস্টে এ কথা জানানো হয়েছিল। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার মমতার কথায় আপত্তি জানাল।

সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। বেসরকারি সূত্রে খবর কয়েকশ ছাত্র এই সহিংসতায় খুন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে বেশ কয়েকদিন কারফিউ জারি থাকলেও এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ নেই ফলে একটা মানবতার জীবনযাপন করে চলেছে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন প্রতিবেশী দেশ থেকে কেউ যদি এই অশান্তির থেকে বাঁচার জন্য পশ্চিমবঙ্গে আসে তাদেরকে আমি ফিরিয়ে দেব না।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ