বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমী, ভারত এর অভিষেক অনুষ্ঠান কলকাতায়
আসাদ আলী-বাংলার জনরবঃ গত ১৯ শে জুলাই ২০২৪ তারিখ বিকেল তিনটা থেকে ছটা পর্যন্ত কলকাতার কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হলে প্রায় ৫০ জন কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক সহ বিভিন্ন গুণীজনের সক্রিয় উপস্থিতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমী, ভারতের অভিষেক অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সমাপন হল । সংগঠনের একনিষ্ঠ এক্সিকিউটিভ সদস্য স্বচ্ছতোয়া শিলু মহাশয়ার দক্ষ সঞ্চালনায়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ ঘোষ মহাশয় এর স্বাগত ভাষণ ও ভারত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সভার সূচনা হয় ।
অতিথিবরণ ও সম্বর্ধনা দেয়া হয় সংগঠনের সভাপতি ডঃ আসাদ আলী মহাশয় কে, বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায়, মিহির কুমার মিত্র, অচ্যুত প্রামাণিক, মিলন কুমার ভৌমিক, রঞ্জন সেনগুপ্ত, কৌশিক গাঙ্গুলী, সুজাতা ঘোষ, সম্পাদক সোমনাথ ঘোষ, যাজ্ঞসেনী, স্বচ্ছতোয়া শীলু, মানসি রায় চট্টোপাধ্যায়, রিনা ভদ্র প্রমূখ সবাইকে ব্যাচ মেডেল মেন্টো উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
সভাপতি বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির অবসান ও শান্তি কামনা করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মৃত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমীর কেন্দ্রীয় কমিটির অভিষেক সভা ছিল বাংলাদেশ ওই একই তারিখে, এই আশু পরিস্থিতির কারণে তা বাতিল হয়ে যায় তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ও তাঁদের প্রতি আশাহত না হয়ে ধৈর্যধারণের পরামর্শ ও শুভকামনা জানিয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর মত পথ আদর্শকে সামনে রেখে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আগত সমস্ত অতিথিবৃন্দের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে এবং নতুন শাখা বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমী নদীয়া জেলা শাখার শুভকামনা জানান।
এই অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায়, মিহির কুমার মিত্র, অচ্যুত প্রামাণিক মহাশয় দের হাতে বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমী নদিয়া জেলা শাখার অনুমোদন দেয়া হয়। অনুমোদন পত্র তুলে দেন সভাপতি আসাদ আলী ও সম্পাদক সোমনাথ ঘোষ মহাশয়।সমস্ত অতিথি বৃন্দ একে একে তাঁদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।
ভীষণ রকম অসুস্থতা অবস্থায় ও উপস্থিত থেকে অসাধারণ শ্রুটি নাটক পাঠ করেন সহ-সম্পাদক সুজাতা ঘোষ মহাশয়া। কবিতা পাঠ ও গান করেন বরিষ্ঠ কবি আনোয়ার হোসেন সাহেব। কবিতা পাঠ করেন তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায়,মিহির কুমার মিত্র, অচ্যুত প্রমাণিক, আসাদ আলী, কৌশিক গাঙ্গুলী, মিলন কুমার ভৌমিক, অরুনিমা ভট্টাচার্য, শমীক ভট্টাচার্য্য, অনিন্দিতা ঘোষ, চৈতি সেনগুপ্ত, কুনাল রায়, সুতপা ঘরামী, সুমিতা বিশ্বাস প্রমূখ। গান করেন যাজ্ঞসেনী। আন্তর্জাতিক অ্যাথলিট রিনা ভদ্রের বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে পাওয়া সংবর্ধনা ও বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং সেখানে ছয়টি দেশের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়ার অসাধারণ অভিজ্ঞতার কথা শোনান ও কবিতা পাঠ করেন । এই সংগঠন তার জন্য গর্ব অনুভব করে।
সমস্ত শিল্পীদের মেডেল ও সার্টিফিকেট দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।