Bangladesh Student Movement: ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মৃত ১০৫, বাংলাদেশ জারি হল কারফিউ, শান্তি ফেরাতে নামছে সেনা! হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে দিল আন্দোলনকারীরা
বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ে ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর এত মৃত্যু একসঙ্গে দেখেনি বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো বলেছে এখনো পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যে 19 জন হল ঢাকার আর বাকি ১১ জন হলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনকারীদের মধ্যে মারা গেছে। এর মধ্যে কয়েকজন সাংবাদিক এবং শাসকদলের ছাত্রলীগের নেতাও রয়েছেন। অন্যদিকে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই কয়েকদিনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম গুলো মৃতের সংখ্যা কম করে দেখাচ্ছে এই কারণে সরকারের চাপ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার পর শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল কিন্তু আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে লাশের উপর দিয়ে কোন আলোচনা চলবে না। এখন একটাই পথ শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। বাংলার জনরব কয়েকদিন আগেই যেটা জানিয়েছিল যে এই আন্দোলনের শেষ পরিণতি হবে হাসিনা সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে। সেদিকেই এগিয়ে চলেছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সমগ্র দেশ জুড়ে কারফিউ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে সেনা নামিয়ে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী নিয়ে হয়েছে সরকার বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবির জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কিংবা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিষয়টি না বলে কেন শাসকদলের নেতা বলছেন? আসলে আন্দোলনের তীব্রতা দেখে শেখ হাসিনা সরকার খানিকটা খেয়েই হারিয়ে ফেলেছে। তবে কারফিউ জারি করা হোক কিংবা সেনাবাহিনী নামানো হোক তাতে আর যাই হোক বাংলাদেশের এই আন্দোলন যে থামানো যাবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর একটি আন্দোলনকে ঘিরে স্বাধীন দেশের বাঙালি নাগরিকরা ১০৫ জন মারা গেল এএফপি সংবাদ সংস্থার মতে এটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখার বিষয় প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়। আহতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে কেউ বলতে পারছে না।