Quota Movement of Bangladesh : সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২, আন্দোলনকারীদের চাপে সমগ্র বাংলাদেশ স্তব্ধ, বন্ধ ইন্টারনেট, পরিস্থিতি হাসিনা সরকারের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে!
বাংলার জনরব ডেস্ক : সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে সমগ্র বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সর্বত্রই প্রতিবাদের মানুষের ঢল নেমেছে। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আক্রমণ অহেতুক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে অশান্ত করে তুলেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জাতির পিতার কন্যা হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছাত্রলীগের এই অমানবিক আচরণ কে এখনো পর্যন্ত নিন্দা করেননি। তার কাছ থেকে যে প্রত্যাশা করেছিল বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরা সেই প্রত্যাশা তিনি পূরণ করতে পারেননি। সেজন্যেই প্রথম আলোতে লিখেছেন ওই পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ আমাদেরকে ক্ষমা করো। তিনি তার লেখার মধ্য দিয়ে বলেছেন যে আবুনুর এরশাদ সরকারের আমলে খুন হয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে তা দেখে তৎকালীন বাংলাদেশের জাতীয় কবি শামসুর রহমান কবিতা লিখেছিলেন আবু নুরের হৃদয় সমগ্র বাংলাদেশ, আজ ওই সম্পাদক লিখলেন আবু সাঈদের হৃদয় সমগ্র বাংলাদেশ।
নিরস্ত্র আবু সাঈদকে যেভাবে পুলিশ গুলি করেছে তা এক কথায় অমানবিক নয় ঘৃণ্য প্রতিবাদযোগ্য। হাসিনা সরকার এখনো পর্যন্ত ওই পুলিশ অফিসার কে কেন গ্রেফতার করেনি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাইহোক গতকাল রাতেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খন্ড যুদ্ধে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রথম আলো খবর করেছে। এ পর্যন্ত সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃতদের অধিকাংশই পড়ুয়া। এক সাংবাদিকও রয়েছেন মৃতের তালিকায়। দেশের প্রশাসন সূত্রে খবর, কোটা বিরোধী আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংবাদসংস্থা এএফপির মতে সংখ্যাটা ৩২।
গত সোমবার থেকে ভয়ংকর আকার নিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দিনভর একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। সূত্রের খবর, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের (TV Channel)সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে জোর করে। মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে একটি সংস্থার মূল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে পুলিশের দিকে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে শাসক দল আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরাও।
বাংলাদেশ প্রশাসনের মতে, বৃহস্পতিবার ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। তাদের মধ্যে ১৩ জনই ঢাকার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন হাসান মেহেদি নামে এক সাংবাদিক। তিনি স্থানীয় এক সংবাদপত্রে কর্মরত। তাঁর শরীরে ছররা গুলির দাগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। এছাড়াও মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশকর্মী এবং আন্দোলনকারীরা। উত্তাল বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। সরকারিভাবে আহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি বাংলাদেশের তরফে। তবে সূত্রের খবর, আহতের সংখ্যা শতাধিক।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। বিকেল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকার মেট্রো পরিষেবা। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, অশান্তি এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।