কারবালার শোকাবহ ঘটনা স্মরণ করল বেস আন-নূর মডেল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা : বক্তৃতা ও কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে
নিজস্ব প্রতিবেদক: কারবালার শোকাবহ ঘটনা নিয়ে বেশ সারা বিশ্বের মানুষজন বিভিন্নভাবে স্মরণ করেন। উত্তরবঙ্গের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বেস আন-নূর মডেল স্কুলে দুদিন ধরে (১৪-১৫ জুলাই) অন্যান্য অনুষ্ঠানের সঙ্গে পালিত হয়ে গেল ‘স্মরণে কারবালা’ অনুষ্ঠান। কিশোরমতি অনুসন্ধিৎসু মনের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ইমাম হোসাইনের (রা) শাহাদাত স্মরণে এই অনুষ্ঠান প্রকৃত অর্থেই অর্থবহ করে তুলেছিল। বক্তৃতায় তারা ছিল যেমন সাবলীল তেমনই কুইজ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারেও তাদের ক্ষিপ্রতা অনেককে অবাক করে দিয়েছে।
প্রতিযোগিতার শেষে পুরস্কার প্রদান করতে গিয়ে বিশিষ্ট অতিথি সিকান্দার মন্ডল বলেন আবাসিক বিদ্যালয় সম্পর্কে আমার পূর্ব ধারণা অনেকখানি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বেস আন-নূর মডেল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের কাজে যে সক্ষমতা ও পারদর্শিতা প্রদর্শন করেছে, তা সত্যিই খুবই প্রশংসার যোগ্য। আমাদের সামাজিক ভবিষ্যৎ যে এরা অনেক উজ্জ্বল করে তুলবে তা বলাই যেতে পারে।
বেস আন-নূর মডেল স্কুলের সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম অভিনন্দন জানান ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকদের এবং এই কর্মসূচি সুচারুরূপে পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য অনুসন্ধান কলকাতার কর্মকর্তাদের। তিনি বলেন মানুষের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অত্যন্ত প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইনের শাহাদাত স্মরণে এই সংক্ষিপ্ত আয়োজন করতে পেরে আমরা পরম স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালার নিকট অশেষ শোকর জ্ঞাপন করছি।
‘স্মরণে মহরম’-এর এই আয়োজনে সার্বিকভাবে সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক সোহেল ইকবাল, তামিম ইসলাম, আনিসুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এই দিনই মহরম উপলক্ষে সারা বাংলা প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকারী বেস আন-নূর মডেল স্কুলের একাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শিহাব সুমনকে সম্মানিত করা হয়। তার হাতে সমসাময়িক শিক্ষা সংস্কৃতি-এর তরফে বিশিষ্ট প্রধান শিক্ষিকা ডঃ স্বাগতা বসাক উপহার সামগ্রী তুলে দেন।