সুপ্রিম কোর্টে তিন সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গেল চাকরি বাতিল মামলার শুনানি!
বাংলার জনরব ডেস্ক : ২৫ হাজার ৭৫৩ এসএসসির মাধ্যমে প্রাপ্ত শিক্ষকতার চাকরি আদৌ থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে কোন শুনানি হলো না। তিন সপ্তাহ পর এই শুনানি হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টের আদেশে এসএসসির মাধ্যমে প্রাপ্ত ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিল। লোকসভা নির্বাচনের মুখে হাইকোর্টের নির্দেশে বেকায়দায় পড়ে যায় তৃণমূল সরকার। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের দারস্ত হয় রাজ্য পিনকোড আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের রায় এর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
আজ ছিল এই মামলার সুপ্রিম কোর্টে শুনানের দিন কিন্তু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ইতিহাসে এই মামলা এলে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর নতুন করে একটি ফলকনামা দেবে বলে জানায়। একই সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী ও আলাদা আরেকটা ফলকনামা দেওয়ার কথা আদালতকে জানায়।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মঙ্গলবার সকালে উঠেছিল মামলাটি। তিনিই লোকসভা ভোটের আগে ওই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময় মেনে মঙ্গলবার আবার মামলাটি তাঁর এজলাসে শুনানির জন্য উঠলে প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁর বেঞ্চ আগে চাকরি বাতিল মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে। তার পরেই এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে।
সুপ্রিম কোর্ট ওই বক্তব্য জানানোর জন্য দু’সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষ— রাজ্য, এসএসসি, সিবিআই, মূল মামলাকারী এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক তাঁদেরকে। আর এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে মঙ্গলবার থেকে তিন সপ্তাহ পরে, অর্থাৎ অগস্টের শুরুতে।
মঙ্গলবার এসএসসি মামলার শুনানি শুরু হওয়ার পরেই রাজ্য সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল, তারা এ সংক্রান্ত একটি হলফনামা জমা দিতে চায় আদালতে। এর পরে এসএসসিও সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, তারা হলফনামা জমা দিতে ইচ্ছুক। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য নোডাল কাউন্সিলর নিয়োগ করার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। পরে আদালত জানায় ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পক্ষেরই বক্তব্য শুনবে তারা। ওই মূল পাঁচ পক্ষ ছাড়া অন্য কেউ যদি তাঁর বক্তব্য জানাতে চান, তবে লিখিত ভাবে পাঁচ পাতার মধ্যে সেই বক্তব্য জানাতে হবে, কিন্তু কোনও পক্ষই নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য দু’সপ্তাহের বেশি সময় পাবে না। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয় দু’সপ্তাহ পরে কারও বক্তব্য শোনা হবে না।
সমস্ত পক্ষের বক্তব্য জমা পড়ার এক সপ্তাহ পরে, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে তিন সপ্তাহ পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার ভবিষ্যৎ সে দিন নির্ধারিত হয় কি না, তা নিয়ে কৌতূহল থাকছে।
গত এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।