দেশ 

ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতের সংবিধানের মূল কাঠামোর অঙ্গ : সুপ্রিম কোর্ট

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি ভারতীয় সংবিধানের মূল কাঠামোর অংশ বলে বৃহস্পতিবার ফের মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে  ‘সমাজবাদ’ (Socialist) এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ (Secular) শব্দদুটি মুছে ফেলার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই মামলার শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন,ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতের সংবিধানের মূল কাঠামোর অঙ্গ।

তবে এই আর্জি জানিয়ে আরো দুটি আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে সবকটিকে একসঙ্গে নিয়ে আগামী আগস্ট মাস নাগাদ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে।

Advertisement

সুব্র্যহ্মণ্যম স্বামীর আর্জি আরজি নিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি যে সংবিধানের মূল কাঠামোর অন্তর্গত তা একাধিক রায়ে আগেই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।” ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দটি সম্পর্কে শীর্ষ আদালতের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “সমাজতান্ত্রিক শব্দের অভিধানগত অর্থ মেনে আমরা চলছি না। সম্ভবত আমরা শব্দটির নিজস্ব সংজ্ঞা তৈরি করেছি।”

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে সংবিধানের ৪২ তম সংশোধনী হিসেবে ২(এ) ধারা অনুযায়ী প্রস্তাবনায় এই শব্দদুটি যোগ করা হয়েছিল। তার আগে থেকেই অবশ্য ভারত সব ধর্মের মানুষকে সমানাধিকার দেওয়ার চল ছিল। সংবিধানে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতা এই দেশের মূল ভিত্তিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু মামলাকারী সুব্র্যহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজবাদ’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দদুটি যোগ করাটা আসলে সংবিধানেরই একাধিক অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। সংবিধানপ্রণেতারা কখনওই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দগুলি যোগ করতে চাননি। তাছাড়া সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধন করা সংসদের এক্তিয়ারের বাইরে।

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সংবিধান প্রস্তাবনা সংসদ বদলাতে পারে কিনা, সেটাই মূল বিচার্য। বিষয়টি মূল মামলায় যোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইনজীবীদের। এই একই রকম দাবিতে আরও দুটি আর্জি জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। সেই আর্জিগুলিকেও একসঙ্গে জুড়ে আগস্টে মামলার শুনানি হতে পারে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ