মুখ্যমন্ত্রী সময় দিয়েছিলেন দশ দিন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সবজির দাম কমলো কেজি পিছু কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকা! খুশি মধ্যবিত্ত সমাজ
সেখ ইবাদুল ইসলাম : গতকাল মঙ্গলবার নবান্ন বসে সাংবাদিক বৈঠকে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি আলু পেঁয়াজ সহ শাক সবজির দাম দ্রুত কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনকে। দশ দিনের মধ্যে জিনিসপত্র যেন মানুষের নাগালে চলে আসে সেই নির্দেশও দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন প্রয়োজন হলে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। রাজ্য ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সহ সিআইডি এবং মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধে গঠিত টাস্ক ফোর্সকে বাজারগুলির উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই নির্দেশের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এক ধাক্কায় কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকা কেজি পিছু দাম কমেছে আলু পটল সহ সবজিগুলির। কলকাতার বাজারে গতকাল ৮০ টাকা কিলো ঝিঙে বিক্রি হয়েছে আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা কোথাও বা ৫০ টাকা। একদিন আগে বাজারে পটল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কিলো, আজ টা কমে হয়েছে ৪০ টাকা। থেকে শুরু করে নানা প্রকার সবজির দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা ছিল। তা কমে আজ থেকে কলকাতা শহরে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পর থেকে প্রশাসনের একটা বড় অংশ বাজার নিয়ন্ত্রণের কাজে নেমে পড়েছে। বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ- পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্রই প্রশাসনের আধিকারিকরা বাজারগুলি পরিদর্শন করছে। আসানসোল বর্ধমান হুগলি শহর জেলাগুলোর সব জায়গাতেই দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশাসন তদন্তে নেমেছে। এমনকি কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে পাইকারি বাজারে দামটা বেশি সেখানে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। ফলে জিনিসপত্রের দাম মাত্র একদিনের মধ্যেই কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকা কমে গেছে।
আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানেই অনন্য। অন্যান্য রাজ্য সরকার জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি রোধে নানা রকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে নিতে অনেকটা সময় চলে যায় ফলে মানুষের কষ্টের শেষ থাকে না। ব্যতিক্রম অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার নির্দেশ দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারেন তাদের কালোবাজারি এবার ধরে ফেলবে প্রশাসন তাই খুব তাড়াতাড়ি তারা সতর্ক হয়ে যান। ফলে দ্রুত দাম কমে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অনন্যতার জন্যই তিনি বারবার সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ পান। বামফ্রন্টের আমলে আলু পিয়াজের দাম বাড়ার পর যেভাবে প্রশাসন তৎপর হতে হতে সপ্তাহ দুয়েক লেগে যেত তাতে মানুষের অসুবিধা দ্রুত দূর হতো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পরেই যেভাবে দাম কমে গেল তাতে সাধারণ মানুষ খুশি বলে জানা গেছে।