কলকাতা 

অংক কষা ওদের কাছে যেন বোঝা না হয়, গণিতের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে আলাপচারিতায় বললেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দেবব্রত মজুমদার

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : শনিবার সন্ধ্যায় ছোট ছোট শিশুদের জন্য গণিত শিক্ষার পাঠ কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালার আয়োজন করেছিল অনুসন্ধান কলকাতা। অনলাইনের এই আয়োজনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গণিতের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা অংশ নিয়েছিলেন।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক দেবব্রত মজুমদার।

Advertisement

এদিন সূচনা বক্তব্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ অমরেন্দ্র মহাপাত্র উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং আয়োজক সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই ধরনের আলাপচারিতা আগামী প্রজন্মের মধ্যে অংক ভীতি কাটিয়ে তুলবে এবং অবশ্যই বিজ্ঞানমনস্ক করে তুলতে সাহায্য করবে। এই ধরনের অনলাইন আয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে হাতে-কলমে সামনাসামনি কর্মশালা করারও তাগিদ দেন ডঃ মহাপাত্র।

এর পর শুরু হয় আলাপচারিতা।গণিতের প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডক্টর দেবব্রত মজুমদার যোগ দেন। তিনি বলেন, গণিতে প্রচলিত পাঠ -পদ্ধতি আমাদেরকে অংকের প্রতি আকর্ষণ নয় বরং উল্টো মনোভাব তৈরি করে। শিশু অবস্থায় সংখ্যা পরিচিতি থেকে শুরু হয় অযৌক্তিক কিছু পদ্ধতি, ধীরে ধীরে তা যোগ, বিয়োগ, গুন-ভাগ, গসাগু-লসাগু, প্রায় সর্বক্ষেত্রেই ত বিস্তার লাভ করে। তিনি বলেন, অল্প কয়েকটা চিহ্ন (+, -, ×, ÷) আর নাম (এক থেকে নয় এবং শূন্য) ব্যবহার করে মূলত যুক্তি নির্ভর ভাষা হল প্রাথমিক পর্যায়ের গণিত। মাতৃভাষার সঙ্গে এই কটা চিহ্ন ও নাম জুড়ে দিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম চলে বেশ। অনেক পরের পর্বের গণিতেও ওই দশটা অঙ্ক আর যুক্তির ব্যবহার ব্যাপক।

প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর অমলেন্দু     মহাপাত্র।

কিন্তু এই সামান্য গণিতটুকু শিখতেই আমাদের শিশুদের অধিকাংশের প্রাণান্ত হয়। অনেকে মনে মনে গণিত থেকে ড্রপ আউটও হয়ে যায়।এটাই গণিতের প্রাথমিক শিক্ষার প্রধান সমস্যা। কী করে এই সমস্যা অনেকটা কমানো যেতে পারে, তা নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করেন তিনি উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে।

ডঃ মজুমদারের বক্তব্য শেষে উপস্থিত সকলে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন, কৃতজ্ঞতা জানান এবং বেশ কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেন। এছাড়াও পরবর্তীতে সামনাসামনি কর্মশালা ও এ ধরনের আরো সেশন অনলাইনেও করা যায় কিনা, সে বিষয়ে প্রস্তাব রাখেন তাঁরা।

বিশেষ কাজে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হতে পারলেও অনুসন্ধান কলকাতার সহ-সভাপতি ও পাঠভবন সোসাইটির সম্পাদক বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন ও পরবর্তী অনুষ্ঠান পাঠভবন ডানকুনিতে করা হবে বলে জানান। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক নায়ীমুল হক।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ