দেশ 

নিটের প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকায়! বিহার পুলিশের কাছে স্বীকার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড অমিত আনন্দের

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : নিট পরীক্ষা প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়েছিল ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকায় বিহার পুলিশের হাতে ধৃত প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারি প্রধান অভিযুক্ত অমিত আনন্দ পুলিশের কাছে এ কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। বিহার পুলিশের হাতে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, অমিত পুলিশের কাছে স্বীকার করছে পরীক্ষার একদিন আগে প্রশ্নপত্র তাঁর হাতে এসেছিল। সেই প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ লক্ষ টাকায়।

বিহারে (Bihar) গ্রেফতার হওয়া অমিত জানিয়েছে, পরীক্ষার আগের দিন তাঁর হাতে প্রশ্নপত্র আসে। তাই টাকা দেওয়া পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অমিত বেআইনি ভাবে একটি কোচিং তথা পরামর্শদাতা সংস্থা চালাত। অমিত ছাড়াও এই মামলায় মোট ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে।

Advertisement

শনিবারই বিহার সরকারের আর্থিক দুর্নীতি বিভাগ একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, নিট (NEET) পরীক্ষার দুর্নীতির মূল অনেক গভীরে। প্রায় পরিকল্পিতভাবে ছন্দবদ্ধ দুর্নীতি। যার বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। নিটের একেকটি প্রশ্নপত্রের দাম ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হত। শুধু তাই নয়, প্রশ্নের উত্তর লিখে দেওয়ার জন্য ‘সলভার গ্যাং’-ও তৈরি হয়েছিল। তাঁদের জন্য আবার আলাদা করে ১০-১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হত। সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থীকে মেডিক্যালে সুযোগ পাইয়ে দিতে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হত। এখন ঠিক কত সংখ্যক পরীক্ষার্থী নিটে পাশ করেছেন, সেটাই তদন্তের মূল বিষয়।

ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেন এই নিটের পিছনে। অথচ সেই পরীক্ষাতেই এত বড় কেলেঙ্কারি! সম্ভবত দুর্নীতির অঙ্কটা কয়েক হাজার কোটির। এদিকে এত দুর্নীতির অভিযোগের পরও নিটের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ করতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবারও শীর্ষ আদালত (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে, কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া যথাসময়ে শুরু হবে। তবে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির দাবি মেনে তিনটি হাই কোর্টে নিট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৬ জুলাই ওই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ