কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছে এসডিপিআই
বাংলার জনরব ডেস্ক : দেশে রেল দুর্ঘটনা নতুন কোনো বিষয় নয়, প্রতিনিয়ত এই রকম হয়েই চলেছে, কোনদিনও নিরপেক্ষ তদন্ত হয় না শেষ মুহূর্তে ট্রেনের লোকো পাইলোট বা কিছু কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয় কিন্তু এই সমস্ত দুর্ঘটনার পিছনে শুধুই কি কর্মী ও লোকো পাইলোট দায়ী? কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এর দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ের জন্য নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন বলে মনে করছেন এসডিপিআই এর রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন,আর টি আই থেকে আসা তথ্য অনুসারে ২০২৩ পর্যন্ত রেলে খালি পদ ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার যার মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার নিরাপত্তা বিভাগের। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা দায়ও মৃত লোকো পাইলোটের উপর চাপিয়েছে রেল, রেলের দাবি সিগন্যাল লাল ছিল তবুও মালগাড়ি না থামিয়ে চলে গেছে যার কারণে সামনে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ধাক্কা লাগে।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে সকাল ৫.৫০ থেকেই খারাপ ছিল সিগন্যাল, স্টেশন মাস্টার অনুমতি দিয়েছিল সিগন্যাল এড়িয়ে যাওয়ার যার ফলস্বরূপ এত বড় দুর্ঘটনা যেখানে এখন পর্যন্ত ৯ জন মারা গেছে ও শতাধিক আহত। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সিগন্যাল শুধুমাত্র আজকেই খারাপ ছিল এমনটা নয়, প্রতিনিয়ত এই রকম খারাপ থাকে অর্থাৎ এই দুর্ঘটনায় রেল বিভাগ কতটা দায়ী তা স্পষ্ট প্রকাশ পেয়ে যায়।
একদিকে সরকার দেশকে বিশ্বগুরু বানাতে একের পর এক দেশ ভ্রমণ করতে ব্যস্ত, বন্দে ভারত বানিয়ে নাম কামাতে ব্যস্ত অপরদিকে নিরাপত্তার অভাবে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ হত্যা।
২২ জুন ২০২৩, বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ২৯৬ জনের মৃত্যু, ২৯ অক্টোবর ২০২৩ বিশাখাপত্তনমে দুই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সংঘর্ষে ১৩ জনের মৃত্যু, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ মাদুরাইয়ে ট্রেনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত ৪, ১১ অক্টোবর ২০২৩ বক্সারে দিল্লি-কামাখ্যা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত ৫ এই রকম অজস্র রেল দুর্ঘটনা, এই সমস্ত রেল দুর্ঘটনার দায়ী মোদী সরকার, মোদী সরকারের গুরুত্বহীনতার কারণে এতগুলো সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে।
সোস্যাল ডেমোক্র্যাটি পার্টি অফ ইন্ডিয়া জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছে এই দুর্ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের, সাথে সাথে যাবতীয় খালি পদে নিয়োগের। এবং নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে, ঈদ উল আযহার আনন্দের দিনে তাদের পরিবারের শোকে আমরা শোকাহত।