দেশ 

শপথের আগেই মোদি শাহের বিরুদ্ধে এক্সিট পোলের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে দুর্নীতির অভিযোগ রাহুলের, জেপিসি তদন্তের দাবি

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক্সিট পোলের নামে এদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশের মানুষকে সর্বনাশ করেছেন বলে, অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক্সিট পোলের নামে শেয়ার বাজারে লগ্নি করার আহ্বান জানিয়ে বেশ কিছু ব্যবসায়ী গ্রুপকে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করেছেন বলে, অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। এর সঙ্গে বড়সড় দুর্নীতি যুক্ত আছেন বলে রাহুলের অভিযোগ প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে রাহুল গান্ধী আজ বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী বলেন, এক্সিট পোলের মাধ্যমে দেশের ৫ কোটি বিনিয়োগকারীর ৩০ লক্ষ কোটি টাকা লুঠ হয়েছে। সেই লুঠের কারিগর কারা? কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ভোটের ফল প্রকাশের আগে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার উপদেশ দিলেন? মানুষকে বিনিয়োগের উপদেশ দেওয়া কি প্রধানমন্ত্রীর কাজ?

Advertisement

কোন সেই বিদেশি লগ্নিকারী যারা শেয়ার বাজারে মাত্র ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বিপুল মুনাফা কামিয়ে নিল মাত্র একদিনে। সেই বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বিজেপির পেটোয়া এক্সিট পোল সংস্থার সম্পর্ক কী?

রাহুলের বক্তব্য, ৩০ লক্ষ কোটি টাকার এই শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে তদন্ত চাই। এই কেলেঙ্কারিতে কারা কারা লাভবান হয়েছে, কীভাবে এই কেলেঙ্কারি করা হয়েছে তা খুঁজে বের করতেই হবে।

এবার লোকসভা ভোট চলাকালীন অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী এনডিটিভিতে সাংবাদিক সঞ্জয় পুগালিয়াকে সাক্ষাৎকার দেন। এনডিটিভি এখন আদানি গোষ্ঠী কিনে নিয়েছে। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের পর যে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেবি তদন্ত চলছে।

সঞ্জয় পুগলিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, “৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে নেবেন, ওটা শুট আপ করবে”। অর্থাৎ হু হু করে দাম বাড়বে। আবার প্রধানমন্ত্রী সেই সঞ্জয় পুগলিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেই বলেন, ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের পর শেয়ার বাজারে এমন তেজি আসবে যে তাদের সমস্ত প্রোগ্রামিং ফেল করে যাবে।

রাহুলের বক্তব্য, আদানি গোষ্ঠীর চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অমিত শাহ এটা কেন বললেন? কেন ৫ কোটি ঘরোয়া বিনিয়োগকারীদের উস্কে দিলেন?

রাহুলের পাশে বসে কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ক্রোনোলজি বোঝার চেষ্টা করুন। প্রথমে মোদী ও অমিত শাহ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বললেন। তার পর এক্সিট পোলে বিজেপিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হল। তার পর একদিনের মধ্যে কয়েকটি সংস্থা ট্রেডিং করে মোটা টাকা লুটে নিল। আর গরিব বিনিয়োগকারীরা পথে বসল। মোট ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ঘোটালা হয়েছে এতে।

রাহুল গান্ধী পরিকল্পিত মাফিক এই দুর্নীতির তদন্ত সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে করার জন্য দাবী জানিয়েছেন। কারণ নরেন্দ্র মোদি সরকার শপথ নেওয়ার আগেই এই অভিযোগ সামনে এনে প্রকৃতপক্ষে নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তিকে জনসম্মুখে উলঙ্গ করে দিলেন রাহুল গান্ধী। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে এইবার টাও দিলেন আগামী দিনে সংসদ কিন্তু চালানো তার পক্ষে কঠিন হবে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ