রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের বেশ কয়েকজন যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে!
বাংলার জনরব ডেস্ক : আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্য বিজেপির ১২ জন এমপির মধ্যে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচজন এমপি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেছেন সদ্য বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান। তিনি তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল এর সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতার পর শেষ রাউন্ডে সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছেন। তিনি পরপর তিনবার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হলেন। সৌমিত্র খান নির্বাচিত হওয়ার পরেই খোলাখুলি ভাবে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন।
কয়েকদিন আগে পর্যন্ত যে সৌমিত্র খান কথায় কথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করতেন সেই সৌমিত্র খান হঠাৎ করে অভিষেকের প্রশংসা করে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি সৌমিত্র খান এবার তৃণমূল মুখী। শুধু সৌমিত্র খান নয় এরকম জনপচেক বিজেপি সাংসদ তৃণমূলের তে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে প্রথম বার সাংসদ হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সৌমিত্র। দ্বিতীয় বার দলবদল করেও ২০১৯ সালে সাংসদ হন বিষ্ণুপুর থেকে। অনেক কম ব্যবধানে হলেও শেষ পর্যন্ত নিজের আসন টিকিয়ে রেখেছেন। সৌমিত্র জিতেছেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী তথা হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ সুজাতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। প্রথম বার প্রায় দেড় লাখ এবং দ্বিতীয় বার ৭৮ হাজার ভোটে জেতা সৌমিত্রের এ বারের জয়ের ব্যবধান মাত্র ৫,৫৬৭ ভোট। তবে এই জয় বিজেপি নয়, বরং আরএসএসের ‘সৌজন্যে’ এসেছে বলেই দাবি করেছেন সৌমিত্র।
তাঁর দাবি, রাজ্য নেতৃত্বের ‘গাফিলতি’র জন্যই বাংলায় এই বিপর্যয়। যদিও দিল্লির নেতৃত্বদের সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই সৌমিত্র বলেন, ‘‘আরএসএস না থাকলে বাংলায় এই কয়েকটা আসনও আমরা পেতাম না।’’ সৌমিত্রের মুখে দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ নতুন কিছু নয়। কখনও কখনও নাম করেও রাজ্য নেতাদের সমালোচনা করেছেন তিনি। তবে বুধবার সামগ্রিক ভাবে রাজ্য নেতৃত্বের নিন্দা করলেও আলাদা করে কোনও নেতার নামোল্লেখ করেননি সৌমিত্র।