‘কাজী নজরুল ইসলাম: একশো পঁচিশে’ গ্রন্থ প্রকাশ
বিশেষ প্রতিনিধি : কৃষ্ণনগরে কাজী নজরুল ইসলাম প্রায় আড়াই বছর (১৯২৬-২৮ খ্রি.) যে বাড়িটিতে সপরিবার ছিলেন, সেখানে তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দে (২৫ মে ২০২৪) সকাল ন’টা থেকে সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘সুজন বাসর’-এর উদ্যোগে নজরুল স্মৃতিধন্য কৃষ্ণনগরের গ্রেস কটেজ ভবনে নজরুলের জন্মোৎসব পালন করা হয়।
Advertisement:
পথপরিক্রমা, গ্রন্থপ্রকাশ, পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান, নৃত্য গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান এগিয়ে চলে। এদিন গ্রেস কটেজে ‘কাজী নজরুল ইসলাম: একশো পঁচিশে’ শীর্ষক একটি বৃহৎ গ্রন্থ প্রকাশ পায়। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্পদনারায়ণ ধর ও ‘শিকড়ের সন্ধানে’ মানবতাবাদী মুক্তমঞ্চের আহবায়ক মণিমোহন ধরের হাত দিয়ে গ্রন্থটি প্রকাশ পায়। উপস্থিত ছিলেন এই গ্রন্থের প্রকাশক তন্ময় ধর, গেটওয়ে পাবলিশিং হাউস এবং গ্রন্থটির সম্পাদক দীপাঞ্জন দে।
‘কাজী নজরুল ইসলাম একশো পঁচিশে’ গ্রন্থের সম্পাদক দীপাঞ্জন দে বলেন “সুবৃহৎ এই গ্রন্থটির দুই মলাটের ভিতর নজরুলের সমগ্র জীবন বিভিন্ন পর্ব, নজরুল সম্পর্কিত প্রবন্ধ মালা, কবিতা, চিঠি-চাপাটি, নথিপত্র প্রভৃতি আরো বহুবিধ বিষয় সযত্নে লিপিবদ্ধ করে রাখার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। নজরুলচর্চার ক্ষেত্রে কতটা উল্লেখযোগ্য এই নির্মাণ, সেই অভিমত পাঠকেরা দেবেন নিশ্চয়। তবে দুই মলাটের ভিতর সমগ্র নজরুল জীবনের সার্বিক চিত্র তুলে ধরা একপ্রকার অসম্ভব। সেই সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়ে আমরা এই গ্রন্থের কলেবরে আমাদের সাধ্যমত নজরুল-সমাহার করে এই মুদ্রণ পাঠকদের সম্মুখে পরিবেশন করলাম।” শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বৃহত্তর বাংলার নজরুল পাঠকেদের কথা মাথায় রেখে এই প্রচেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকজন বরণীয় ব্যক্তিবর্গের বহুবিধ নজরুলচর্চা এই গ্রন্থটির মুদ্রণে ধরা রইল।
পাঠকদের সুবিধার্থে কয়েকটি পর্বে লেখাগুলির বিন্যাস করা হয়েছে। এই গ্রন্থের শেষাংশে পরিশিষ্ট পর্বটিও খুব যত্ন নিয়ে সাজানো হয়েছে। নজরুল-প্রকাশকদের কথা, নজরুল-অধ্যায়নে, নজরুলচর্চায় প্রয়োজনীয় বেশ কিছু গ্রন্থের বিবরণ, নজরুল জীবনপঞ্জি, গ্রন্থপঞ্জি প্রভৃতিও এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়েছে।