দেশ 

প্রধানমন্ত্রী হোটেলের বিল ৮০.৬ লক্ষ টাকা এক বছর ধরে বকেয়া পয়লা জুনের মধ্যে পরিশোধ না করলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি

শেয়ার করুন

নরেন্দ্র মোদি সরকার কি আর দিল্লিতে ক্ষমতায় আসছে না তা না হলে মহীশুরের এক হোটেল কর্তৃপক্ষ এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখে তাদের বকেয়ার টাকা পয়লা জুনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলেছেন তা এক কথায় অভিনব। মোট পকেয়ার পরিমাণ ৮০.৬ লক্ষ টাকা পয়লা জুনের মধ্যে সুদ হিসাবে আরো ১২.০৯ লক্ষ টাকা যোগ করে শোধ দিতে হবে না হলে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ কেন্দ্র সরকারকে চিঠি দিয়ে হুশিয়ারি দিয়েছেন।

‘দ্য হিন্দু’ এই সংবাদ জানিয়ে লিখেছে, গতবছর প্রধানমন্ত্রী মাইসুরুতে এই হোটেলে ছিলেন। প্রজেক্ট টাইগার নামে একটি প্রকল্পের ৫০-তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।

Advertisement

অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ) এবং কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রক। রাজ্য বন দফতরকে ৯-১১ এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যার আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৩ কোটি টাকা। পুরো টাকাটাই কেন্দ্রীয় সরকারের খরচে হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু, অতি দ্রুত আয়োজনপর্ব সমাধা করতে গিয়ে সেই খরচ ৬.৩৩ কোটিতে পৌঁছয়। এ পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে রাজ্য বন দফতরকে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩.৩৩ কোটি টাকা। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে মূল খরচ ৩ কোটি ধরা হলেও কেন্দ্রের দুই সংস্থার পক্ষ থেকে আরও অনেক কিছু যোগ করায় খরচ বেড়ে যায়।

আর এই কারণেই এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি খরচের বহরও বাড়িয়ে দেয়। একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন কোটেশনও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সংস্থাকে। তারপরেও মাইসুরুতে প্রধানমন্ত্রীর থাকা-খাওয়ার বকেয়া বিল নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে। গতবছরেই ২৯ সেপ্টেম্বর প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (বন্যপ্রাণ) এনটিসিএ-র কাছে প্রাথমিকভাবে ইস্যুটি উত্থাপন করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনটিসিএ জানিয়ে দেয়, এই খরচটি বহন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এরপর নতুন প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর গত মার্চ মাসে এবং হোটেলের ফিনান্স ম্যানেজার মে মাসে বকেয়া টাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও ৮০.৬ লক্ষ টাকার বিলের অর্থ এখনও হাতে পায়নি ব়্যাডিসন ব্লু প্লাজা।

হোটেলের তরফে সরকারে জানানো হয়েছে, একবছরের বেশি সময় ধরে টাকা বকেয়া থাকায় বার্ষিক ১৮ শতাংশ সুদ ধরা হবে। অতিরিক্ত ১২.০৯ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও বিলে যোগ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। আগামী ১ জুনের মধ্যে বকেয়া বিলের টাকা না মেটালে আদালতে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। রাজ্য বন দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া টাকা তারা দেবে না। কারণ এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান ছিল।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ