ইরানের প্রেসিডেন্টের অকাল মৃত্যুর নেপথ্যে দুর্ঘটনা না ষড়যন্ত্র? কী বলছে ইরান প্রশাসন!
বিশেষ প্রতিনিধি : রবিবার সন্ধ্যায় আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পাহাড়ের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা গ্রস্ত হয়ে পড়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির হেলিকপ্টার। এই হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইরানের বিদেশ মন্ত্রী ছিলেন এবং একাধিক আধিকারিক ও ছিলেন। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণে রবিবার রাতেই ইরান প্রশাসনের নির্দেশে সে দেশের সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে ঢোকার চেষ্টা করে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেই চেষ্টা অনেকটাই ব্যর্থ হয় পরে ড্রোন মারফত ছবি তুলে দুর্ঘটনা গ্রস্ত এলাকাটা চিহ্নিত করা হয়।
সোমবার সকালেই জানা যায় ওই হেলিকপ্টারে যারা যারা ছিলেন সকলেই মারা গেছেন স্বাভাবিকভাবেই ইরানের প্রেসিডেন্টেরও মৃত্যু হয়েছে। আর এই মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রচার। কিছু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে শুরু করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পেছনে একটা বড় ষড়যন্ত্র কাজ করছে বিশেষ করে পড়শীদেশ ইসরাইলের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত ইরান প্রশাসন দাবি করেছে যে এটা নিছকই দুর্ঘটনা এর নেপথ্যে থেকে কোন ষড়যন্ত্র নেই।
তারপরেও সামাজিক মাধ্যমে কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলছেন যে ইরানের প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজানের সঙ্গে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। সেই দেশ সফর করে ফেরার পথেই দুর্ঘটনা গ্রস্ত হয়ে মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল দুটো হেলিকপ্টারের কিছু হলো না অথচ যে হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেই হেলিকপ্টারটাই দুর্ঘটনার মধ্যে পড়ল কেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে সামাজিক মাধ্যমে যে প্রশ্নই উঠুক না কেন ইরান প্রশাসন দাবি করেছে এটা নিছকই দুর্ঘটনা মাত্র। কারণ এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই ইসরাইলের মোসাদ যেমন উন্নত মানের গোয়েন্দা সংস্থা একই রকম ভাবে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাও কম উন্নত নয়। এই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হলে অবশ্যই ইরান জানতে পারতো। যেমন কয়েক মাস আগে সিরিয়াতে ইরানের দুই সেনা আধিকারিককে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে খুন করেছিল ইসরাইল বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে ইসরাইল কোন এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত ছুঁড়ে ছিল সেই এলাকার চিহ্নিত করে সেখানে হামলা চালিয়েছিল ইরান। সুতরাং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারের প্রতি আস্থা না রেখে ইরান প্রশাসনের উপরেই আস্থা রাখা উচিত বলে আমাদের মনে হয়েছে। কারণ এই ধরনের অপপ্রচার সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর এবং অন্য দেশের নাগরিকের কাছেও বিপদ বই আনতে পারে।