‘হেরিলে মায়ের মুখ / দূরে যায় সব সুখ…’ মাতৃ দিবসে হাতিয়াড়ার হক মঞ্জিলে রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা
নাফিসা ইসমাতের প্রতিবেদন, ১৩ মে ২০২৪: আজ মাতৃ দিবস। সদ্য পার হয়েছে রবীন্দ্র জয়ন্তী আর সামনে আসছে নজরুল জয়ন্তী। এমনই এক সন্ধিক্ষণে হাতিয়াড়া শিশু কিশোর সমিতির আয়োজনে হক মঞ্জিলে রবিবার পালিত হল রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা। রবিবারের সন্ধ্যা ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নজরুল ইসলামের গান ও কবিতায় ভরা। কোনরকম প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই ছোটদের এই আয়োজন।
এই দিন অনুষ্ঠানের শুরু হয় নজরুলের লেখা সকলের অন্যতম প্রিয় ইসলামী সংগীত ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ (সা:)’ দিয়ে। তারপর একে একে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের জীবনী এবং কবিতা, ছড়ায়-গানে জমজমাট হয়ে ওঠে পুরো সন্ধ্যা। কখনো সমবেত কন্ঠে শোনা গেল, ‘আমরা সবাই রাজা’ তো কখনো নও-জাওয়ানের উদ্দেশ্যে ডাক, ‘চল চল রে চল’।
কারোর গলায় আবার কান্ডারী হুশিয়ার তো কেউ এসে বলছে লিচু চোরের মত মজার কবিতাও। একইসঙ্গে এদিন ছিল মাতৃ দিবস। সেই উপলক্ষে নজরুল ইসলামের ‘মা’ কবিতাটি আবৃত্তি করে মামুনুল ইসলাম খান। এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিল ছোটরাই। রবীন্দ্র-নজরুলের গান ও কবিতার লাইনের সাথে মিলিয়ে তাদের আঁকা কিছু ছবি দিয়েই সাজানো হয়েছিল চারিদিক। যাদের মধ্যে সুরাইয়া ও রুকসার আঁকা বিশেষভাবে নজর কেড়েছে সকলের। ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘বিচিত্র সাধ’, ‘খেলা-ভোলা’র মতো কবিতা গানে অনুষ্ঠানের একটা পর্ব ছিল রঙিন। তারপর ছিল টিফিন বিরতি ও ফটো সেশন পর্ব। এবং শেষ পর্বে অভিনীত হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটক ‘ছাত্রের পরীক্ষা’।
মজার এই নাটকের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হলো- বকাঝকা ও মারপিট দিয়ে কখনোই ভালো কিছু হয়না। ভালোবেসে পড়ানোয় রয়েছে শিক্ষকতার আসল রসদ। নাটকে ছাত্রের চরিত্রে মজার অভিনয় করে সকলের কাছে প্রশংসিত হয় আলেয়া মল্লিক। নাটকের পর অনুষ্ঠানের শেষ হয় সবাই মিলে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত দিয়ে।
এরকম অনুষ্ঠান আবারো হোক, এই দাবী বড় দিদি ফাহমিদা, মুনিশা, মাইশুরার কাছে করে খুদে আরিফ, আলফাজ, সুমাইয়ারা।