দেশ 

ভোটে হার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় কংগ্রেস সভাপতিকে সতর্ক করলো নির্বাচন কমিশন।

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : ভারতে এখন এক আজব নির্বাচন চলছে এর আগে পর্যন্ত ভোটের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্বাচনের কত শতাংশ ভোট পড়েছে তার তথ্য কমিশন জানিয়ে দিত। কিন্তু ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে ১০ দিন ১১ দিন পর তথ্য জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন এবং সেটাও দেখা যাচ্ছে যেটা আগে বলা হচ্ছিল তার চেয়ে ছয় থেকে সাত শতাংশ বেশি। এ নিয়ে জনমানষে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতবর্ষের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কমিশন যে হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হওয়ার ১০ দিন পর কেন ভোটের হার ঘোষণা করতে হলো কিংবা দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শেষ হওয়ার তিনদিন পর কেন ভোটের হার ঘোষণা করতে হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী জোটের নেতারা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খারগে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে এনে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। আর তাতেই গোসা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

Advertisement

পাল্টা কমিশন চিঠি দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি কে লিখেছেন তিনি অযাচিতভাবে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কমিশনের কাজ কর্মের উপরে আগ্রাসন চালাচ্ছেন। গণতান্ত্রিক দেশে প্রশ্ন তুললেই আগ্রাসন এটা কোন ধরনের কথা নির্বাচন কমিশন বলছেন এটা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। আগে যখন নির্বাচন হত তখন তো ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভোটের শতাংশের হার ঘোষণা করে দেয়া যেত। শুধু তাই নয় নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে বলতো কোন লোকসভা কেন্দ্রে কত ভোটার কত ভোট পড়েছে কত শতাংশ ভোট পড়েছে ভোটের সংখ্যা কত কত মহিলা ভোট দিয়েছে কত পুরুষ ভোট দিয়েছে বিস্তারিত তথ্য নির্বাচন কমিশন ২০২৪ এর আগে প্রকাশ করতো ২০১৪ তে প্রকাশ করেছে ২০০৯-এ প্রকাশ করেছে তাহলে এখন কি এমন ঘটনা ঘটলো তা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করতে পারছে না।

প্রশ্ন উঠেছে দেশের মানুষের কাছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করা। ইভিএম নিয়ে যে প্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে তার সংশয় দূর করার দায়িত্ব যেমন নির্বাচন কমিশনের তেমনি নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশন সাংবাদিক সম্মেলন করে বড় মুখ করে বলছেন সমস্ত লেভেল কে সমান করে দেয়া হবে, অথচ নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি যেভাবে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিরব কেন জানতে চাই দেশের মানুষ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ