জেলা 

ইনসাফ চাইছে সুলতানার পরিবার

শেয়ার করুন
  • 3
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গড়িয়ার কন্দর্পপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সুলতানাকে গণধর্ষনের পর হত্যা করা হয় বলে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের অভিযোগ। সব কিছু প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ তুলছেন সুলতানার প্রতিবেশী থেকে শুরু করে পরিবারের লোকজন। তার পরিবারের পক্ষে পরিষ্কার দাবি করা হয়েছে, তাঁরা পুলিশের কাজে
অসন্তুষ্ট।

সুুলতানার এক আত্মীয়র কথায়, তাঁদের থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে বাধা দিচ্ছে শাসকদলের লোকজন।  বিষয়টির তদন্ত করতে পুলিশও সক্রিয় নয়। পুরো বিষটিকে সাধারণ দুর্ঘটনা বলে এড়িয়ে যাচ্ছে পুলিশ। শুধু সুলতানার পরিবার বা প্রতিবেশী নয়, ঘটনায় ইনসাফের দাবিতে সক্রিয় হয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরও। গতকাল কন্দর্পপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে এপিডিআরএর তরফে একাধিক পোস্টার মারা হয়েছে। তাদেরও সাফ কথা সুলতানা হত্যারর ইনসাফ চাই। এই দাবিকে সামনে রেখে আগামীকাল গড়িয়ায় একটি পথসভাও ডাকা হয়েছে।

Advertisement

ছবিঃ কবি মন্দাক্রান্তা সেনের কোলে সুলতানার ছোটপুত্র

কবি মন্দাক্রান্তা সেনরাও গতকাল সুলতানার বাড়ির উঠনে দাঁড়িয়ে সুবিচার ও সঠিক পুলিশি তদন্ত ও ইনসাফ দাবির পাশাপাশি দূর্গত এই পরিবারকে মানবিক সাহায্যের আশ্বাস দেন।
নিহত সূলতানার শাশুড়ি তাঁর পুত্রবধূ সুলতানার ছোট্ট আট মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে
অশ্রুসিক্ত হয়ে বলেন, ‘ চার সন্তানের জননী সুতালতানা। মাস কয়েক আগেই স্বামীকে হারিয়েছে ও। ও বরাবরই শান্ত স্বভাবের ছিল। কিন্তু ওই দিন হঠাৎ কি হল বুঝতে পারছিনা। তবে ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি যাতে হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।’ প্রতিবেশী ফাতেমা বিবি বলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে আমি ভোরে কাজে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করেছি, যে কয়েকজন দুষ্কৃতি তাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। তার দিনকয়েক পরেই এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। এ থেকেই স্পষ্ট যে সুলতানাকে খুন করা হয়েছে। তবে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি চাইছি। তবেই বিচার পাবে সুলতানা।

প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে কাজ থেকে ফেরার পথে সুলতানা অসুস্থবোধ করে গড়িয়া স্টেশনে নেমে যায়। সঙ্গে ছিল দশ বছরের ছেলে। সে বাড়ি এসে আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে মাকে আনতে গিয়ে আর খুঁজে পায়নি। পরে রাস্তায় বিবস্ত্র অবস্থায়য় পাওয়া যায় সুলতানাকে। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয় পরিবারের তরফে।

এপিডিআর এবং রাডিক্যাল এই দুই সংগঠনের তরফে সুলতানার পরিবারকে আইনি সাহায্য সহ সামাজিক আন্দোলন হিসেবে সংগঠিত করার জোর চেষ্টা চলছে বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যে এপিডিআর ডেপুটেশন দিয়েছে এবং সোনারপুর থানার আইসি পরেশ রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছে। আক্রান্ত আমরার পক্ষেও সোনারপুর থানায় ডেপুটেশন দিয়ে ঘটনার তদন্ত  ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।


শেয়ার করুন
  • 3
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

seven + 14 =