কলকাতা 

সমাজের প্রতি দায় আছে, একথা ভাবলে, তবেই তো আসে দায়িত্ব : শিক্ষা নিয়ে আলোচনা চক্রে বললেন মিলন দত্ত

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রচন্ড দাবদাহে রাজ্যের শিক্ষাঙ্গন যখন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে, তখন কিন্তু বসে নেই শিক্ষককুল। তাঁরা ভাবছেন, শিক্ষায় প্রগতি অব্যাহত থাকবে কোন পথে, উন্নত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের ভূমিকা কি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতাই বা কতখানি। কলকাতার পার্ক সার্কাস অঞ্চলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক সভাকক্ষে শিক্ষক সহ বিভিন্ন পেশার বুদ্ধিজীবীরা সমবেত হয়েছিলেন শনিবার সন্ধ্যায়। কেরিয়ার কাউন্সেলিং সংস্থা চেকমেট-এর কাজী মোঃ হাবিব আহ্বান জানিয়েছিলেন শিক্ষা নিয়ে এই আলোচনা চক্রটির।

লেখক ও সাংবাদিক মিলন দত্ত

Advertisement

সূচনা বক্তব্যে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক মিলন দত্ত বলেন, আমরা সাধারণত দায় এড়িয়ে চলতে চাই। কিন্তু অনেকে আছেন, যাঁরা তেমন নন। সমাজ নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন তাঁরা। আমাদেরও তাঁদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। সমাজ সম্পর্কে ভাবতে হবে আমাদেরও। নিজেদের দায়বদ্ধতার কথা ভাবলে, আপনা থেকেই দায়িত্ব চলে আসে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বহু জায়গায় ঘুরতে হয়েছে আমাকে। দেখেছি নীরবে, নিভৃতে কত মানুষ কাজ করে যাচ্ছেন। আসলে কাজের একটা স্পৃহা থাকতে হয়। যেখান থেকেই তৈরি হয় দায়বোধ, আসে দায়িত্ব। শিক্ষার নানা দিক উঠে আসে তাঁর কথায়।

আইআইটি য়ান শুভজিৎ মাইতি।

তিনি বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিদ্যালয়ও যেভাবে এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। সমাজের নানা অঙ্গনে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁরা কাজ করছেন, তার দু একটা নজির তিনি তুলে ধরেন। শিক্ষা প্রসারে, শিক্ষা উৎকর্ষতায় বিরাট দায়িত্বের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরের বেস আন-নূর মডেল স্কুল, মুর্শিদাবাদের কয়েকটি স্কুলের নাম করে তিনি বলেন, এঁরা সামাজিক কর্মকাণ্ডে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হয়, এঁদেরকে অভিনন্দন।

বিশিষ্ট লেখক ও প্রাক্তন আমলা আরফান আলী বিশ্বাস

এদিন বিস্তৃত আলোচনায় উঠে আসে শিক্ষকতার নানা কথা, শিক্ষার্থীদের প্রতি স্নেহ, মায়া, মমতা নিয়ে শিক্ষাদানের কথা, মায়েদের বিশেষভাবে শিক্ষিত হওয়ার কথা। এছাড়াও নতুন প্রজন্মের মাইন্ড-ম্যাপিং, প্রাইমারি এডুকেশনে আরও গুরুত্ব বৃদ্ধি, মোবাইল ফোনের ব্যবহার-অপব্যবহার, কেরিয়ার মেনটরিং, ভোকেশনাল এবং ওপেন স্কুলিং সিস্টেমের নানারকম কোর্সের কথা উঠে আসে এই দিন। আলোচনায় আরো যাঁরা বক্তব্য রাখেন, তাঁরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষা আধিকারিক আরফান আলী বিশ্বাস, বিশিষ্ট গবেষক সাবির আহমেদ, বিশিষ্ট সমাজসেবী খাদেমুল ইসলাম, লেখক আসাদুল ইসলাম, পান্থ মল্লিক, গৌরাঙ্গ সরখেল, আইনজীবী শাহিনুর রহমান, পারভীন সুলতানা প্রমূখ। এদিন সভায় পৌরোহিত্য করেন বিশিষ্ট শিক্ষক নায়ীমুল হক। সভর সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক ও সমাজসেবী রাসনাউল আলম।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ