দেশ 

মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোটের প্রতি সহানুভূতির হওয়া স্বীকার করলেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতা

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক :  মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া জোট খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে এই নির্বাচনে সবচেয়ে ভালো ফল করবে কংগ্রেস শরদ পাওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের দল। এ কথা কোন মিডিয়া হাউস বলছে না এ কথা বলছে এনডিএ জোটেরই শরীক দলের নেতা। মহারাষ্ট্রে কার্যত হার মেনে নিল বিজেপি এবং তার জোট সঙ্গীরা। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথাগুলি বলেছেন এন সি পি নেতা ছগন বুঝবল।

তিনি ওই সংবাদ মধ্যমকে বলেছেন, “২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এবার আর এনডিএর লড়াইটা অত সহজ নয়। শিব সেনা এবং এনসিপিতে ভাঙনের পর শরদ পওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দিকে একটা সহানুভূতির হাওয়া তৈরি হয়েছে। সেটা তাঁদের মিটিং-মিছিলে দেখাও যাচ্ছে। ২০১৪ আর ২০১৯-এর মতো ভেঙে যায়নি বিরোধী শিবির।” যদিও পরক্ষণেই ছগন বুঝবলের দাবি, “মানুষের ভরসা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির উপর। মানুষ শক্তিশালী সরকার গড়বে।”

Advertisement

বস্তুত মারাঠাভূমের রাজনীতি এবার বেশ জটিল। আগে যেখানে মূলত চারটি দল দুই শিবিরে লড়ত, এবার সেখানে বড় দল ছটি। মূল প্রতিপক্ষ অবশ্য দুটিই। একদিকে বিজেপি, শিব সেনা (শিণ্ডে শিবির) এবং এনসিপি (অজিত শিবির), অন্যদিকে কংগ্রেস, এনসিপির শরদ পওয়ার শিবির এবং শিব সেনার উদ্ধব শিবির। অধিকাংশ আসনেই এবার লড়াই সমানে সমানে।

আসলে ২০১৯-এর পর শিব সেনা শিবির বদলে কংগ্রেসের হাত ধরতেই মহারাষ্ট্রে চাপে পড়ে যায় বিজেপি। পালটা পদক্ষেপে শিব সেনার শিণ্ডেকে ভাঙিয়ে নিজেদের শিবিরে ভেড়ান মোদি-শাহরা। একই পরিস্থিতি হয় এনসিপির সঙ্গেও। এনসিপির অজিত পওয়ারকেও ভাঙায় বিজেপি। কংগ্রেসেরও একাধিক নেতাকে ভাঙিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু দলে ভাঙনের পর উদ্ধব, শরদের (Sharad Pawar) মতো প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে একটা সহানুভূতি কাজ করছে। সেটা আঁচ করেই সম্ভবত প্রবীণ নেতা ছগন বুজবল (Chhagan Bhujbal) আগেভাগে ‘হার’ মেনে নিলেন। তিনি নিজেও ভোটে লড়ছেন না। অজিত পওয়ার তাঁকে নাসিক থেকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন।

মহারাষ্ট্রের বর্তমান উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ এই এন সি পি নেতার বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচার হওয়ার পরেই মহারাষ্ট্র জুড়ে শোরগোল পড়েছে। যদিও এখনো মহারাষ্ট্রের সব লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষ হয়নি এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই নেতার হার মেনে নেওয়া ওই রাজ্যের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব করা সম্ভবনা রয়েছে এ থেকে এটাই স্পষ্ট হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে এবার বিজেপির তেমন কিছু ভালো ফল করার সম্ভাবনা নেই।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ