কলকাতা 

বাংলা-মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অনুসন্ধান-এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নায়ীমুল হক: প্রচন্ড তাপপ্রবাহে একেবারে বেসামাল অবস্থা। রাজ্য সরকার বাধ্য হয়েছে স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনতে। এরই মধ্যে বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বয়ে এসেছে এক বিরাট সুখবর।

অনুসন্ধান কলকাতার মুখ্য উপদেষ্টা বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খান এই সুখবর দিয়েছেন। তিনি বিস্তারিত ভাবে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে সমাজ যে দ্রুততার সঙ্গে পাল্টাচ্ছে, সে সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারণা থাকা উচিত। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অতি দ্রুত ঢুকে পড়ছে নতুন নতুন ধারণা, স্বাভাবিকভাবেই তার প্রয়োগ শুরু হয়ে যাচ্ছে আমাদের ঘরে-ঘরে, আমাদের কর্মক্ষেত্রে, এক কথায় আমাদের সমাজে। বিদ্যালয় শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টলিজেন্স, মেশিন লার্নিং। চিকিৎসায় রোবটিক্স এর ব্যবহার ঊর্ধ্বমুখী। নিত্য-নতুন পরিভাষাও আজ অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে, ব্যবহার হচ্ছে খবরের কাগজে, সামাজিক মাধ্যমে। যেমন জিনোম এডিটিং, জিনোমিকস, ফেনোমিকস, মেটাজেনোমিক্স, IOTs, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, অর্গানিক ফার্মিং, হাইড্রোপনিক্স, ভার্টিক্যাল ফার্মিং, কার্বন ক্রেডিট, কার্বন সিকোয়েস্ট্রশন, বায়োসিক্যুরিটি ইত্যাদি।

Advertisement

       বিশিষ্ট বিজ্ঞানী উপাচার্য ডঃ বিধান চন্দ্র দাস 

বিজ্ঞানের এই সমস্ত জটিল ধারণা ও পরিভাষা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হচ্ছে নতুন প্রজন্ম, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন বিষয়গুলি নিয়ে পড়তে আগ্রহী হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই বিদ্যালয় শিক্ষকদের বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত থাকা শুধু প্রয়োজন নয় বরং খুবই জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলি সম্পর্কে অভিভাবকদেরও স্বচ্ছ ধারণা থাকলে সন্তানের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কিংবা পারিবারিক ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের প্রয়োগ অনেক সহজ হয়ে দাঁড়ায়।

তাই, সমস্ত দিক মাথায় রেখে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের নিয়ে এই সমস্ত বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলিকে সহজ ও প্রাঞ্জল বাংলা ভাষায় তুলে ধরতে এগিয়ে এসেছেন দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি বিজ্ঞানীরা।

তাঁদের কয়েকজনের সঙ্গে সুদূরপ্রসারী এই ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছে অনুসন্ধান কলকাতা।

রবিবার এক প্রস্তুতি বৈঠকের পর বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খান জানালেন, দীর্ঘমেয়াদি এই কাজের প্রথম কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে আগামী ১২মে রবিবার সন্ধ্যা ৭টায়। অনলাইনের এক আলোচনাচক্রে এদিন মিলিত হবেন সম্মানিত বিজ্ঞানীরা। তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের নিকট। তাঁরা যেন এই সুযোগ হাতছাড়া না করেন, অতি অবশ্যই অনলাইনের এই আয়োজনে উপস্থিত থাকেন, আর অবশ্যই থাকে যেন তাদের সন্তানেরা।

এদিন প্রস্তুতি বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য ড.বিধান চন্দ্র দাস। বাংলা ভাষা-ভাষী ছাত্র ও শিক্ষকদের নিয়ে অনুসন্ধানের এই ভাবনাকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন এবং আগামী দিনের কর্মসূচিতে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছেন ড. শিবাজী রাহা, ড. অনুপম বসুর মতো প্রথিতযশা বিজ্ঞানীরাও।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ