অভিষেকের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী আরএসএস কর্মী অভিজিৎ দাস !
বাংলার জনরব ডেস্ক : অবশেষে নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল বিজেপি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আরএসএস কর্মী অভিজিৎ দাস।
বঙ্গ রাজনীতিতে অভিজিৎ সে ভাবে পরিচিত নাম না হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজনীতিতে চেনা মুখ ববি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি জেলা সভাপতিও ছিলেন একসময়ে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেও অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন ববি। তবে জয় থেকে সে বছর ছিলেন অনেক দূরে। অভিষেক যেখানে ৫ লক্ষের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন, ববি সেখানে পেয়েছিলেন দু’লক্ষের সামান্য বেশি ভোট। ২০১৯ সালে তাঁকে আর টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাঁর বদলে বিজেপি প্রার্থী করেছিল নীলাঞ্জন রায়কে। এর পর ২০২৪ সালে আবার ববির উপরেই ভরসা রাখছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাকি সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ঝুলে ছিল ডায়মন্ড হারবারের ভাগ্য। অভিষেকের বিরুদ্ধে কে লড়বেন, তা অনেক দিন পর্যন্ত ঘোষণা না করায় তৃণমূলের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয় পদ্মশিবিরকে। বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দলের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল অনেক দিন ধরেই। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ সঙ্ঘ পরিবার ববিকে প্রার্থী করার দাবি তুললেও দলেরই কেউ কেউ চাইছিলেন বাইরে থেকে ‘হেভিওয়েট’ কাউকে এনে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী করুক দল।
বিজেপি সূত্রে খবর, সঙ্ঘ পরিবারের যুক্তি ছিল, আরএসএস-এর পুরনো কর্মী ববি। বিভিন্ন সময়ে বিজেপি এবং সঙ্ঘের নানা দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারের রাজনীতির সঙ্গেও ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তাই অভিষেকের সঙ্গে লড়াই যদি কেউ করতে পারেন, তা হলে তিনিই পারবেন। বিজেপির অন্য একাংশের যুক্তি ছিল, তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামা সহজ হবে না। তাই প্রার্থী এমন কাউকে করতে হবে, যাঁর নামের ভারেই বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক উপচে পড়ে। আর তার জন্য বাইরে থেকে কোনও পরিচিত মুখকে অভিষেকের বিরুদ্ধে আনার দাবিও তুলেছিলেন তাঁরা।
প্রকৃতপক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোন পরিচিত মুখ প্রার্থী হতে চাইছিলেন না। এমন সময় বিজেপির অন্য কোন উপায় ছিল না তাই বাধ্য হয়ে আরএসএসের পুরনো মুখকে প্রার্থী করলো বিজেপি।