নাম না করে তিন-চার জন পুলিশ আধিকারিকের উদ্দেশ্যে মমতার হুঁশিয়ারি দুমাস পরে কী করবেন ?
বিশেষ প্রতিনিধি : কোচবিহারের সভা থেকে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শুক্রবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কোচবিহার কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন।
তিনি এদিন বলেন,‘‘আমি সরি (দুঃখিত), প্রশাসন সব দেখেও চুপচাপ বসে থাকে। কিসের ভয়? চাকরি যাবে? ইলেকশন কমিশন সরিয়ে দেবে? তো দু’মাস বাদে কী করবেন? তার থেকে এখনই দিল্লি চলে যান না। কে বারণ করেছে!’’ এর পর সরাসরি সেই পুলিশ কর্তাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘হয় দিল্লি যান, না হলে নিশীথের বাড়ি চলে যান। তা হলে আর আপনাদের আইনশৃঙ্খলা সামলাতে হবে না।’’
মমতা নিজেই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। তবে এখন তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নেই। কারণ নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, পুলিশের একাংশকে মমতা বার্তা দিতে চেয়েছেন, দু’মাস বাদে যখন নির্বাচন কমিশনের হাতে আর আইনশৃঙ্খলা থাকবে না, তখন তিনিই সবটা দেখবেন। দিনহাটার সভায় মমতা বলেন, ‘‘কোচবিহারে যদি আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও প্রবলেম (সমস্যা) হয়, আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না।’’
তৃণমূলনেত্রী স্পষ্টই বলেন, ‘‘সব পুলিশ খারাপ নয়। বেশির ভাগ পুলিশই নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন, করছেন। কিন্তু তিন-চার জনের নাম আমার কাছে আছে। শুধু আমার কাছে কেন, সবাই তাঁদের কথা জানে।’’
একই সঙ্গে কোচবিহারে এই ভোটের সময় তৃণমূল নেতা কর্মীদের মাথা ঠান্ডা রাখতে বলেন। বিশেষ করে তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘‘উদয়নকে বলব, বি কুল। কুল কুল-তৃণমূল। ঠান্ডা মাথায় নির্বাচন করতে হবে। ও (নিশীথ প্রামাণিক) তোমাকে গন্ডগোলে জড়িয়ে বিএসএফকে দিয়ে ভোটটা করিয়ে নেবে। ভুলেও সেটা করতে দিয়ো না। আগে থেকে নিজেকে তৈরি রাখো। শান্তি বজায় রাখো।’’