তৃণমূল কংগ্রেস দেশের আইন ও সংবিধানকে তছনছ করছে ধূপগুড়ির সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
বাংলার জনরব ডেস্ক : নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি তে ভূপতিনগর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি খানিকটা কড়া ভাষায় বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস দেশের আইন ও সংবিধানকে তছনছ করছে।তৃণমূলকে নিশানা করে মোদী বললেন, ‘‘দেশের আইন এবং সংবিধানকে তছনছ করছে।’’ মোদী আরও বলেন, ‘‘এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার।’’ সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে ভূপতিনগরে সম্প্রতি এনআইএর ‘আক্রান্ত’ হওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২২ সালের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে শনিবার ওই এলাকায় যায় এনআইএ। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তোলার পরেই এনআইএর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শনিবারই ভূপতিনগর থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। তবে সেই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তার মধ্যেই শনিবার রাতে ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার। এফআইআর দায়ের করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর চলছে। তৃণমূলের দাবি, ভোটের মুখে এনআইএর তদন্ত হচ্ছে বিজেপির নির্দেশে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন ওই গত ২৬ মার্চ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এনআইএর এসপি ধনরাম সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তৃণমূল নেতাদের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছে তারা। পাল্টা বিজেপির জিতেন্দ্র মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘এই ভোটে তৃণমূলকে সবক শেখানো খুব জরুরি। এক একটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করতে হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তৃণমূল চায় ওদের গুন্ডাদের সন্ত্রাস করার লাইসেন্স মিলুক। তদন্তকারীরা তদন্ত করতে গেলে ওদের উপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা করায়। আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল। সন্দেশখালিতে আপনারা দেখেছেন, কী হয়েছে। এখানে প্রত্যেক ঘটনায় আদালকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।’’
ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত ৩ হাজার কোটি বাংলার মানুষকে দেওয়ার কথা বললেন একই সঙ্গে যারা শিক্ষকতার চাকরি নিতে গিয়ে শাসকদলকে টাকা দিয়েছে সেই টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি ও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। মোদিজীর ভাষায়, ‘‘দুর্নীতি মামলায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আমি পরামর্শ নিচ্ছি, কী ভাবে ওই টাকা বঞ্চিতদের ফেরত দেওয়া যায়। বেচারা শিক্ষকদের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছেন। আমি ওঁদের টাকা ফেরত দেব।’’