দেশ 

‘‘বিজেপিতে যোগ না দিলে আমাকেও গ্রেফতার করবে ইডি’’ এই মন্তব্যের জেরে দিল্লির মন্ত্রীকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : দেশের নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল অনেক আগেই এবার আপ নেত্রী অতিশীকে শোকজ করা নিয়ে সেই নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়ে গেল! আপনেত্রী বলেছিলেন হয় বিজেপিতে যোগ দাও নয় জেলে যাও। এটা হচ্ছে বিজেপির নীতি এই কথা বলার জন্য ওই নেত্রীকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন!তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘বিজেপিতে যোগ না দিলে আমাকেও গ্রেফতার করবে ইডি।’’ এ বার সেই মন্তব্যের জন্যই তাঁকে শো-কজ় করল নির্বাচন কমিশন।

প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশন যখন দেশজুড়ে আদর্শ আচরণ বিধি চালু করেছে ঠিক সেই সময়। কিভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলি বিরোধী দলের নেতাদের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশীর নাম করে হেনস্থা করতে পারে। প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশন নিজে থেকে কেন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছে না। সাংবাদিকদের কাছে বসে শুধু জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখলে হবে না বাস্তবে নিরপেক্ষতা দেখাতে হবে কিভাবে সবাইকে সমান ভাবে সুযোগ দেয়া যায় নির্বাচনে লড়াইয়ে সেই বিষয়টি উপর নির্বাচন কমিশনকে দেখা উচিত। তা না করে যেভাবে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার দায়ী নির্বাচন কমিশন দিল্লির মন্ত্রীকে শোকজ করল তা নিঃসন্দেহে নির্বাচন বিধি সম্মত হয়নি বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

Advertisement

শুক্রবার অতিশীকে নোটিস পাঠিয়ে তাঁর মন্তব্যের কারণ জানতে চাইল কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে সেই শো-কজ়ের জবাব দিতে বলা হয়েছে আপ নেত্রীকে। যদিও এই নোটিস সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত আপ বা অতিশীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকে গ্রেফতারের পর এ বার তাঁকেও গ্রেফতার করা হতে পারে বলে গত মঙ্গলবার আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন অতিশী। তিনি বলেন, ‘‘কেজরীওয়ালের পর বিজেপি এখন আপের পরবর্তী নেতাদের নিশানা করছে।’’ এখানেই থেমে থাকেননি আপ নেত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘ব্যক্তিগত পরিসর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। আমাকে বলা হয়েছে, আমি যদি আমার রাজনৈতিক জীবন বাঁচাতে চাই, তবে আমি বিজেপিতে যোগ দিতে পারি। আর যদি বিজেপিতে না যাই, তবে আগামী এক মাসের মধ্যে গ্রেফতার হতে পারি। আমাকে এক জন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রত্যেক আপ নেতাকে জেলে পাঠানোর জন্য মনস্থির করেছেন।’’

দিল্লির মন্ত্রীর কথায়, ‘‘সত্যেন্দ্র জৈন, মণীশ সিসৌদিয়া, সঞ্জয় সিংহের পর কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এখন তারা (বিজেপি) আপের আরও চার নেতাকে গ্রেফতার করতে চায়। আমার পাশাপাশি রাঘব চড্ডা, দুর্গেশ পাঠক এবং সৌরভ ভরদ্বাজকেও গ্রেফতার করা হবে।’’

যদিও অতিশীর এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি। দিল্লির বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবা অতিশীকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি দাবি করেছিলেন, আবগারি দুর্নীতিতে গোটা আপই জড়িত। শুক্রবার অতিশীকে সেই মন্তব্যের জন্যই শো-কজ় করল কমিশন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ