কলকাতা 

প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায়, পরে নবান্নে চিঠি দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রীকে সরানোর সুপারিশ রাজ্যপালের, হাস্যকর সিদ্ধান্ত বললেন ব্রাত্য

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে প্রশাসন চালানোর কথা বললেও রাজ্যপালরা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধুনে কাজ করে চলেছে। এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আজ বৃহস্পতিবার পশ্চিমবাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এক্স হ্যান্ডেল একটি পোস্ট করেন যে পোস্টটা হাস্যকর এবং সংবিধান বিরোধী করলে কম বলা হবে না। ওই পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্কে অবনতি হওয়ার নেপথ্যে নাকি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দায়ী। তাই অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হোক। এই পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য এটি মুছে দেয়া হয় কিন্তু ইতিমধ্যেই পিটিআইয়ের দৌলতে সর্বভারতীয় স্তরে খবর হতে শুরু করে দেয়।

এদিন বিকেলে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গ ওঠে। X হ্যান্ডেলে করা ওই পোস্ট রাজভবনের তরফে ডিলিট করা হয়েছে বলেই দাবি করেন খোদ ব্রাত্য বসু। তবে তার কিছুক্ষণের মধ্যে ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ করে রাজভবন। নবান্নে এই মর্মে সুপারিশপত্র পাঠানো হয়।

Advertisement

রাজ্যপালের এই সুপারিশকে হাস্যকর বলে দাবি করেন ব্রাত্য। X হ্যান্ডেলে ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ