দেশ 

নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে গিয়ে সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে যোগগুরু রামদেব

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : রামদেব প্রতিষ্ঠিত পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই কেন্দ্র এবং রামদেবের সংস্থাকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করেছিল। আজ রামদেব ও তাঁর সঙ্গী সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রামদেব সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চাইতে গেলে তাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বক্তব্য হল আপনারা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন শুধুমাত্র আদালতে ক্ষমা চাইলে হবে না দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়েছে পতঞ্জলি। গত নভেম্বর মাসে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, ভুয়ো তথ্য দেওয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করলে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা ভুগতে হবে। কেবল রামদেব নয়, পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের তোপে পড়েছে কেন্দ্রও। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ”সরকার চোখ বন্ধ করে বসে আছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।” ইতিমধ্যে সংস্থাটিকে নোটিসও দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

ওই নোটিসে সুপ্রিম কোর্টে হাজির দিয়ে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাইতে বলা হয়েছিল রামদেব এবং পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণকে। এর পরই টনক নড়ে সংস্থার দুই প্রধানের। গত সপ্তাহে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চান তাঁরা। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশ মতো শীর্ষ আদালতে হাজিরা দিয়ে ক্ষমা চান রামদেব। যোগগুরুর আইনজীবী বলেন, ‘আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। তিনি (বাবা রামদেব) এখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইতে উপস্থিত রয়েছেন।’ এর পরেও আদলতের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রামদেবকে।

বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, এই ক্ষমা চাওয়াও আসলে ‘লোক দেখানো’। ‘গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছেন…এখন বলছেন দুঃখিত!’ এদিন ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করে আদালত বলে, ‘অবাক করা কাণ্ড হল পতঞ্জলি যখন শহরগুলিতে ছড়াচ্ছিল যে অ্যালোপ্যাথিতে কোভিডের চিকিৎসা নেই, তখন কেন চোখ বন্ধ করেছিল কেন্দ্র!’ এদিন বিচারপতিরা নির্দেশ দেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও একটি বিস্তারিত হলফনামা জমা দিত হবে পতঞ্জলিকে।

উল্লেখ্য, রামদেবের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ঝুলছে সুপ্রিম কোর্টে। কোভিড অতিমারীর সময়ে করোনার চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথির ব্যবহার নিয়ে একাধিক নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন যোগগুরু। চিকিৎসকদেরও তোপ দাগেন তিনি। তার পরেই একাধিক রাজ্যে এফআইআর দায়ের করে আইএমএফ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ