কলকাতা দেশ 

“বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে” দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে অভিযোগ জানালেন শশী ডেরেকরা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারকে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি এই অভিযোগ জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে।

তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে শশী ছাড়াও ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সাকেত গোখেল এবং সাগরিকা ঘোষ।  শশী জানান, তাঁদের চিঠি গ্রহণ করেছে কমিশন। আগামী সোমবার তা নিয়ে আলোচনা হবে। ওই দিন আবার তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কমিশনের দফতরে যাবেন।

Advertisement

শশী পাঁজা বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। দেশের সর্বত্র এখন আদর্শ আচরণবিধি চলছে। এই সময়ে কোনও দলের কোনও অভিযোগ থাকলে কমিশনের দ্বারস্থ হতে হয়। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। আমাদের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসদের বাড়িতে তারা হানা দিচ্ছে। প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, কাউকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। প্রার্থীকে বিব্রত করার অর্থ প্রচার আটকানো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে এটা করা হচ্ছে। শুধু ইডি, সিবিআই নয়, আয়কর দফতর, এনআইএ-র মতো সংস্থাও আমাদের নেতাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে। কর্মীদের ব্যতিব্যস্ত করা হচ্ছে। এই বিষয়টি আটকানোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। দেশের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি। লক্ষ্যনীয়, সব কেন্দ্রীয় সংস্থাই কিন্তু বাংলায় আসছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যে যাচ্ছে না। দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব কমিশনের। আমরাও সেটাই চাইছি।’’

উল্লেখ্য, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের একটি মামলায় বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। মহুয়া হাজিরা এড়িয়েছেন। তিনি প্রচারে ব্যস্ত বলে জানান। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বোলপুরের বাড়িতে কিছু দিন আগে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। মন্ত্রীকে বুধবার ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তিনিও হাজিরা দিতে যাননি। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের বাড়িতে টানা ৭০ ঘণ্টা তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। তাঁকেও ১৫ দিনের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ