স্বপন মজুমদার একজন ড্রাগ মাফিয়া এরকম ব্যক্তির হয়ে কিভাবে প্রচার করব? দাবি বারাসাতের বিজেপি নেতা কর্মীদের একাংশের
বাংলার জনরব ডেস্ক : বারাসাতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে ড্রাগ পাচারের অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল ঘোলা হলেও তখন অনেকেই কুনালকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি কিন্তু বর্তমানে বারাসাতের বিজেপি নেতারাই বলছেন একজন ড্রাগ মাফিয়ার হয়ে কিভাবে ভোট প্রচার করবেন তারা। ইতিমধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ।যে ভিডিওতে বিজেপি কর্মী বলছেন, ‘‘বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের যিনি প্রার্থী হয়েছেন, সেই স্বপন মজুমদার মহাশয় এক জন ড্রাগ মাফিয়া। এ রকম এক জন প্রার্থীর হয়ে কী ভাবে আমরা ভোটপ্রচারে যাব?’’ বিজেপি সূত্রের জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি স্থানীয় বিজেপি নেতা শ্যামল দাস। বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি জায়গায় স্বপনের বিরুদ্ধে পোস্টারও পড়েছে। এ বার স্বপনের বিরুদ্ধে গত ভোটে কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ তুললেন দলীয় নেতা-নেত্রীদের একাংশ।
এ নিয়ে তাঁরা কমিশনেও নালিশ জানিয়েছেন। অশোকনগরের বিজেপি নেত্রী উৎপলা বিশ্বাস এবং বারাসতের বিজেপি নেতা সুভাষচন্দ্র রায় বৃহস্পতিবার কমিশনকে এ বিষয়ে চিঠিও দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, হলফনামায় অসমে মাদক পাচার সংক্রান্ত একটি মামলা নিয়ে ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছিলেন স্বপন। ‘মিথ্যা’ তথ্য দিয়েছিলেন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সম্পত্তি নিয়েও।
মাদক মামলা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং পোস্টারকাণ্ডের প্রেক্ষিতে স্বপন অবশ্য আগেই দাবি করেছিলেন যে, তৃণমূলই এ সব করাচ্ছে! তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি পুরোপুরি সরে গিয়েছে। ওরাই এ সব নোংরামি করার চেষ্টা করছে। তাতে কিছু লাভ নেই। বিজেপির সঙ্গে মানুষ রয়েছেন। বারাসাত লোকসভাবাসী বিজেপিকে আনতে চান।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে মাদক আইনে স্বপনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ট্রেন সফরের সময় তাঁর কাছে মাদক পাওয়া যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছে শাসকদল। স্বপনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গত লোকসভা ভোটে বিজেপির বারাসতের প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘‘এঁর যে প্রোফাইল আমি দেখলাম, একটা কেস রয়েছে ওঁর নামে। আমি এই রকম একটা লোকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাঁর হয়ে লোকের কাছে যদি ভোট চাই, ওখানকার লোক তো আমায় জুতো মারবেন।’’ পাল্টা স্বপন বলেন, ‘‘উনি অবসাদে ভুগছিলেন। কাকলিদেবীর (তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার) কিছু লোক ওঁকে কিছু প্রলোভন দেখিয়ে এটা করিয়েছেন।’’