কলকাতা 

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ফোনে মেয়রের অভিযোগ বেআইনি নির্মাণ হয়েছে বাম আমলে, ভেঙে দাওনি কেন? প্রশ্ন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি নির্মাণ হয়ে চলেছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। এই সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন সময়ে হঠাৎ দেখা যায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফোনে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করতে। ফিরহাদ হাকিমের দাবি যে বেআইনি নির্মাণ গুলো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এলাকায় হয়েছে তা সবটাই বাম আমলের। এর উত্তরে প্রাক্তন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ভেঙে দেননি কেন?

ফোনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বাম আমলের বাড়ি এখনও রয়েছে কেন? কেন ভেঙে দাওনি?’’ প্রাক্তন বিচারপতি মেয়রকে জানান, তাঁর এলাকাতেই বেআইনি নির্মাণ হয়ে চলেছে। অথচ প্রশাসন কিছুই করছে না। ফোনে তিনি বলেন, ‘‘তুমি এসো আমার বাড়িতে। ছাদে নিয়ে গিয়ে দেখাব গলির মধ্যে কী ভাবে পাঁচ তলা বাড়ি গজিয়ে উঠেছে।’’

Advertisement

ফোনের ও পারে ফিরহাদ কী বলেছেন, তা যদিও শোনা যায়নি। পরে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ নিয়ে একটা কনফারেন্স ছিল প্রেস ক্লাবে। আমি যখন কথা বলছিলাম, তখনই মেয়রের ফোন আসে। ফিরহাদ আমাকে বলেন, ওই নির্মাণ সব বাম আমলের। আমি তখন ওকে বলেছি, ভেঙে দাওনি কেন ও সব! ও তখন বলে, আমি জানতাম না। আমাকে জানাননি কেন? আমি বলি, তোমার প্রতিনিধি আছে তো!’’

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার ৭৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কবিতীর্থ পার্ক এলাকায় থাকেন তিনি। পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুর এলাকায় বেআইনি নির্মাণের সূচনা যে বাম আমলে শুরু হয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ফোন করে সে কথাই জানিয়েছিলেন ফিরহাদ। বেআইনি নির্মাণ যে হয়ে চলেছে, সে কথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কেন ফিরহাদকে জানাননি, সে প্রশ্নও তুলেছেন মেয়র।

সাংবাদিক বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘তোমাকে কী ভাবে পাব আমি? তোমার প্রতিনিধি তো আছে। তোমাদের প্রশাসন কাজ করছে না। আমার এলাকায় ভেঙে দিয়ে গিয়েছিল। পরে আবার দোতলা বাড়ি পাঁচ তলা হয়ে গেল!’’ মেয়রের কাছে স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ফোনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এক দিকে নির্মলা সীতারামন টাকার অভাবে ভোটে লড়তে পারছেন না। আর অন্য দিকে তোমার কাউন্সিলর পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি চড়ে আসে।’’

কলকাতার সাধারণ নাগরিকরা বলছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ধান বানতে শিবের গীত করতে চাইছেন। ফিরহাদ হাকিমের আমলে বেআইনি বাড়ি নির্মাণ কোনভাবেই কমেনি। এমনকি পুরনো বাড়িগুলোর উপরে বেআইনিভাবে একতলা দোতলা তোলার ইতিহাসও ফিরহাদ হাকিমের আমলে তৈরি হয়েছে। এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী বাংলার জনরব। তাই বাম আমলের উপর দোষ দিয়ে নিজের দায় এবং দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা ফিরাদ হাকিমের নামকে তাদের প্রোমোটারির অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। এসব কথা কি মেয়র জানেন না।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ