কলকাতা 

নির্বাচন আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর সিবিআই তল্লাশি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেন মহুয়া, দিলেন তিনটি পরামর্শ!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দেশে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেছে। এই অবস্থায় সমগ্র দেশ ধরে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি কার্যকরী করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই এবং ইডি বিরোধী দলের নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং অনেককে গ্রেফতার করছে। গত শনিবার সকালে কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে বেশ কয়েক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।

আর এ নিয়েই প্রতিবাদ জানিয়ে এবার সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেন মহুয়া মৈত্র। এই চিঠিতে যেমন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া কিভাবে আদর্শ-আচরণ বিধি বলবৎ থাকা সত্ত্বেও সিবিআই ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি কাজ করে চলেছে। তিনি বলেছেন বিরোধীদলের নেতা ও প্রার্থীদের প্রকাশ্যে হেনস্তা করা হচ্ছে এটা করা যায় না।

Advertisement

দীর্ঘ চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কথাও তিনি তুলে ধরেছেন। মহুয়া বলেছেন যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি একের পর এক বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং গ্রেফতারের মতো কাজ করে চলেছে তাতে নির্বাচনের সময় বিরোধীদল গুলি সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনকে লেখা চিঠিতে মহুয়া প্রশ্ন করেছেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর যখন গোটা দেশে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ করা হয়েছে, তখন রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে গিয়ে এই ধরনের তল্লাশিও কি আদর্শ আচরণের বিরোধী নয়?

মহুয়ার যুক্তি, যেখানে ভোট ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সমতা রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে সংবিধানে, যেখানে সেই দায়িত্ব রয়েছে খোদ নির্বাচন কমিশনেরই হাতে, সেখানে কী ভাবে কমিশন এই ধরনের তল্লাশি চালানোর অধিকার দিচ্ছে সিবিআইকে! এ কথা কী করে ভুলে যাচ্ছে কমিশন যে, সিবিআই কেন্দ্রের অধীনস্থ তদন্তকারী সংস্থা। ফলে তার নিয়ন্ত্রণও কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা শাসক দলের হাতেই থাকা স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে তারা নির্বাচনী ফয়দা তুলতে এই ধরনের সংস্থার ব্যবহার করতেই পারে।

নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি মহুয়া মৈত্র কমিশনের কাছে তিনটি বিষয়ে অনুরোধ করেছেন ।অবিলম্বে এই তিনটি বিষয় কার্যকর করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। এই তিনটি বিষয় হল :

এক, দেশে আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকাকালীন সিবিআই তাদের তদন্তের কাজ কী ভাবে এগোবে, সে ব্যাপারে কমিশন একটি গাইডলাইন বা নির্দেশিকা তৈরি করে দেবে।

দুই, নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকাকালীন যেন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, নেতা বা প্রার্থীর বিরুদ্ধ কঠিন পদক্ষেপ না করতে পারে সিবিআই, তা নিশ্চিত করবে কমিশন।

তিন, এ বিষয়ে প্রয়োজন হলে আরও যদি কোনও নির্দেশিকা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে, তবে তা-ও জারি করবে কমিশন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ