ভোট কর্মীদের ট্রেনিং-র পর পরীক্ষা নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন
বাংলার জনরব ডেস্ক : নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ ভোট কর্মীদের শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ দিয়েই নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব শেষ করছে না একই সঙ্গে প্রশিক্ষিত ভোট কর্মীরা কিভাবে কাজ করবেন বা কতটা শিখেছেন তার জন্য ৫০ নম্বরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৮তম লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমগ্র দেশ জুড়ে নির্বাচন কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
এবার নির্বাচন কমিশন রীতিমতো করা অবস্থান নিয়েছে কোন ভোট কর্মী যাতে ফাঁকি দিতে না পারে। একইসঙ্গে সরকারি কর্মচারী ও ইস্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা যারা এবার ভোটের ডিউটি পাবেন তাদের জন্য দুটি ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এর পাশাপাশি রয়েছে ৫০ নম্বরের পরীক্ষার ব্যবস্থা।
তিন ধাপে সরকারি কর্মচারীদের এই প্রশিক্ষণ হবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে প্রশিক্ষণের পরে তৃতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ শেষে একটি ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই পরীক্ষায় প্রশ্ন থাকবে নির্বাচনে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে। যদি কোনও ভোটকর্মী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন, তা হলে তাঁকে আবার বিষয়গুলি প্রসঙ্গে অবগত করানো হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে একটি বুথে কম করে চার জন ভোটকর্মীর প্রয়োজন হয়। এক জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার হিসেবে থাকেন তিন জন। তৃতীয় পোলিং অফিসার করা হয় গ্রুপ ডি-র কর্মীকে। এ বারের ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে চার জনকেই পরীক্ষায় বসতে হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এ বারের ভোটে নতুন অনেক বিষয় সংযোজিত হচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনও ভোটকর্মীকে ভোটের কাজে ব্যবহার করার ঝুঁকি নিতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন। তাই জেলাভিত্তিক ভোটের নির্ঘণ্ট দেখেই প্রশিক্ষণের সূচি ঠিক করা হয়েছে।
ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘যাঁরা নতুন ভোটকর্মী হয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রয়োগ করলে ঠিক ছিল। কিন্তু যাঁরা বহু বার নির্বাচনে কাজ করেছেন এবং অভিজ্ঞতা আছে, তাঁদেরকে আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসানোর কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।’’ সরকারি কর্মচারীদের ভোটগ্রহণ পর্বে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে ইতিমধ্যেই একঝাঁক পদক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন।