জেলা 

পাঠ ভবন ডানকুনিতে আন্তঃবিদ্যালয় যোগাসন প্রতিযোগিতা

শেয়ার করুন

গৈরিক সাহা : এক অভিনব উদ্যোগ নিল পাঠ ভবন ডানকুনি। বিদ্যালয়ে গত শনিবার আয়োজিত হল আন্তঃবিদ্যালয় আমন্ত্রণমূলক যোগাসন প্রতিযোগিতা। যাঁর তত্ত্বাবধানে ছিল সাব ডিভিসান কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস এন্ড স্পোর্টস এর শ্রীরামপুর শাখা। এই প্রতিযোগিতায় হুগলী জেলার একাধিক স্কুলের অনূর্ধ বারো, পনেরো ও সতেরো বছরের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহন করে। সর্বমোট ১০৬ জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে ৬৪ জন ছাত্রী সহ ৪২ জন ছাত্র।

যোগাসন কেবলমাত্র ব্যক্তির শারীরিক গঠন মজবুত করে তাই নয়, মানসিক বিকাশেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। মূলত সেই ভাবনাকে সামনে রেখে, ছাত্রছাত্রীদের মাঝে যোগাসন এর গুরুত্ব বৃদ্ধি করতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷

Advertisement

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোল ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার তপন কুমার দাস, ডানকুনি থানার ওসি শান্তনু সরকার ও পাঠ ভবন ডানকুনির স্পেশাল অফিসার সিদ্ধার্থ শঙ্কর মণ্ডল। শুরুতেই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড: দেবব্রত মুখোপাধ্যায় ও পাঠ ভবন সোসাইটির সম্পাদক শ্রী বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত অতিথি দের বরণ করে নেন। তারপর বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও বিদ্যালয় সঙ্গীতের মাধ্যমেই শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।

সব আসনগুলি কে মোট ৩টি ভাগে ভাগ করে দেয় বিচারক মন্ডলী। সেখান থেকেই লটারির মাধ্যমে যেকোনো ৩টি আসন বেছে নেওয়া হয়, যেগুলি বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগী ও প্রতিযোগিনীদের বাধ্যতামূলক ভাবে করে দেখাতে হবে। বিভিন্ন বয়সের ছেলে ও মেয়েদের জন্য ছিল আলাদা আলাদা আসন। পাশাপাশি আরও যেকোনো দুটি আসন অংশগ্রহণকারী দের করতে বলা হয়। এক একটি বিভাগে ছিল ৫ জন বিচারক। একেবারে জাতীয় স্তরের নিয়মাবলি অনুসারে চলেছে এই বিচার প্রক্রিয়া। বিচারকের প্রদেয় নম্বরের ভিত্তিতে প্রথম থেকে পঞ্চম স্থানাধিকারীদের মেডেল, ট্রফি ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।

তবে পুরষ্কার শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্তরেই ছিল তা নয়। যে বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীরা সর্বোচ্চ নম্বর পাবে তাদের ‘স্কুল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি’ তুলে দেওয়া হবে। এই বিভাগে জয়লাভ লরে শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রনাথ বিদ্যানিকেতন ফর গার্লস। এই বিদ্যালয়ের দুই কৃতী ছাত্রী ঐশিকি মুখার্জি ও ঐন্দ্রিলা বর যথাক্রমে অনূর্ধ্ব ১২ ও অনূর্ধ্ব ১৫ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে।

এদের ক্রীড়াকৌশল সকলের কাছে বিশেষ ভাবে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। এদিন বিদ্যালয়ের তরফে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যাবস্থা করাও হয়৷ পাঠ ভবন সোসাইটির সম্পাদক বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত, প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করার আশ্বাস দেন। সবমিলিয়ে পাঠ ভবনে আগত সকল বিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অবিভাবক থেকে শুরু করে পাঠ ভবনের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা এই অনুষ্ঠানের ফলে বেশ আপ্লুত।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ