মোদী ম্যাজিক শেষ , কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখা এখন চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে
সেখ ইবাদুল ইসলাম : ২০১৯–এর লোকসভা ভোটের আগেই থেমে গেল বিজেপির জনমোহনী নেতার বিজয় রথ । এই এক পরাজয়ে মোদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে । রাহুল গাঁধী যে ধাক্কা দিলেন তা সামল দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। মোদী–জমানায় প্রথম বার হিন্দি–বলয়ের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিজেপিকে হারালেন রাহুল। কংগ্রেস সভাপতি পদে নাম ঘোষণার ঠিক এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিনেই রাহুলের এই বিজয়। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলে সেই অর্থে মোদীর বিজেপির হাতে রইল শূন্য।
লোকসভার আগে এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে ধরা হয় সেমিফাইনাল। এ দিন কংগ্রেস অবশ্য মিজোরামে ক্ষমতা হারিয়েছে। তেলঙ্গানাতেও চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে তাদের জোট কাজে এল না। বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোট এগিয়ে আনার চালেই সেখানে সফল হলেন চন্দ্রশেখর রাও। কিন্তু গোটা দেশের চোখ যেদিকে ছিল, সেই হিন্দি–বলয়ের রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস। যদিও মাত্র দু’টি আসনের জন্য রাজস্থানে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না। আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মধ্যপ্রদেশে রাত পর্যন্ত ম্যাজিক সংখ্যার নীচেই থেকে গিয়েছে দু’দল। সেখানেও সরকার গড়া নিয়ে নিশ্চিত কংগ্রেস। কারণ, অখিলেশ, মায়াবতীর দল সেখানে আসন পেয়েছে, যা সরকার গড়ার অন্যতম চাবি হয়ে উঠেছে।
আসলে মোদী ম্যাজিক ফিকে হওয়া শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন থেকে । তিনি যেভাবে নোট বন্দী করে দেশের আর্থিক স্থিতিকে সমস্যার মধ্যে ফেলেছেন তাতে করে দেশের মানুষ তাঁকে আর ক্ষমা করবেন কিনা সন্দেহ আছে । তাছাড়া আরবিআই সিবিআই সহ সমস্ত সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে যেভাবে নিজের স্বার্থে বিজেপি ব্যবহার করেছে তা মেনে নিতে পারছে না দেশের মানুষ । রাহুল গান্ধী গতকালই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন , ‘ আমি মোদীর কাছ থেকে শিখেছে কী করে কাজ না করেও প্রচার করা যায় ।‘ রাহুলের কথাকে স্বীকৃতি দিয়েই বলতে হয় মোদী ভাষণ দিয়ে গেছেন কাজের কাজ কিছুই করেননি । ২০১৯–এ মোদীর ভাষণবাজী আর যে কাজ করবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । মোদী ম্যাজিক শেষ , শুরু হল গান্ধী পরিবার জমানার সূচনা । রাহুল গান্ধীর ম্যাজিকে কুপোকাৎ বিজেপি ।