জেলা 

একদিনে ১২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত! Attendence রেজিস্টার দেখে চক্ষু চরক গাছ! সাত দিনের মধ্যেই রিপোর্ট তলব বিচারপতির

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক :  স্কুলের বাইরের নর্দমায় ইতি-উতি ছড়িয়ে ছিটিয়েছিল মিড ডে মিল খাওয়ার ভাতের থালা। তা দেখে আদালতে যাওয়ার পথে বিচারপতির গাড়ি থেমে যায়। গাড়ি থেকে নেমে বিচারপতি সোজা ঢুকে যান ইস্কুলের ভিতরে। দেখা করেন প্রধান শিক্ষক মহাশয় এর সঙ্গে  দেখতে চান অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার দেখা যায় ১২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত আর তা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের স্বনামধন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর চক্ষু চড়ক কাজ হয়ে ওঠে। একদিনে ১২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত খানিকটা বিস্ময় প্রকাশ করেন! এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবাংলার জলপাইগুড়ি জেলার ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে যাওয়ার সময় বিচারপতি বসু দেখেন, ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশন স্কুলের সামনের নর্দমায় মিড ডে মিলের ভাত ছড়ানো। জেলার অন্যতম প্রাচীন স্কুলের এই অবস্থা দেখে গাড়ি থামিয়ে সটান ভিতরে চলে যান বিচারপতি। স্কুলে ঢুকে বিষয়টি জানতে চান। কিছু ক্ষণ পরেই চলে যান স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘরে। সেখানে শিক্ষকদের রেজিস্টার বুক দেখতে চান বিচারপতি বসু। তাতে দেখেন, স্কুলের ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১২ জন স্কুলে আসেননি! এক দিনে কেন এত জন শিক্ষক অনুপস্থিত, সে ব্যাপারে জানাতে বলে সাত দিনের মধ্যে সার্কিট বেঞ্চে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বিচারপতি। জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলেছেন বিচারপতি। পরে স্কুল থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘রোজ এই স্কুলের সামনে দিয়ে যাতায়াত করি। আজ স্কুলের অবস্থা দেখতেই আসা। দেখি, অনেক শিক্ষক নেই! আগে সারপ্রাইজ ভিজিট হত স্কুলগুলোতে। এখন কি হয়?’’

এ প্রসঙ্গে জেলা স্কুল পরিদর্শক বালিকা গোলে বলেন, ‘‘সারপ্রাইজ ভিজিট ছিল। তিনি জেলার যে কোনও স্কুলে যে কোনও দিন এমন পরিদর্শন করতে যেতে পারেন। যাঁরা আজ স্কুলে অনুপস্থিত, তাঁদের থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি।’’


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ