দেশ 

রাজ্যসভার নির্বাচনের পরেই হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকার সংকটের মুখে? বিধানসভা থেকে ১৫ বিজেপির সদস্যকে বহিষ্কার করলো স্পিকার

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যসভার নির্বাচনের কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে জয় পরাজয় টসের মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়ার পরেই হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বলে বিজেপির দাবি তুলেছে। তারা এই দাবিতে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছে। অবিলম্বে বিধানসভায় কংগ্রেসকে আস্থা ভোট চাইতে হবে বিধানসভার ভেতরে এ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।

আজ বুধবার স্পিকারের কক্ষে গিয়ে স্লোগান দেওয়া এবং দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে বহিষ্কার করা হয়েছে। জয়রাম ছাড়াও বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন বিপিন সিংহ পরমার, রণধীর শর্মা, লোকেন্দ্র কুমার, বিনোদ কুমার, হংস রাজ, জনক রাজ, বলবীর বর্মা, ত্রিলোক জামওয়াল, সুরেন্দ্র শোরি, দীপ রাজ, পুরান ঠাকুর, দিলীপ ঠাকুর এবং ইন্দর সিংহ গান্ধী।

Advertisement

মঙ্গলবারের রাজ্যসভার ভোটের ফলের পরেই বিজেপি দাবি তোলে লোকসভা ভোটের আগেই সে রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটবে। রাজ্যসভা ভোটে শাসকদলের হারের জেরে রাজ্যপাল এ বার মুখ্যমন্ত্রীকে আস্থাভোট নেওয়ার নির্দেশ দতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই বুধবার সকালে বিধানসভায় আস্থাভোটের দাবি জানান বিজেপি বিধায়কেরা। অভিযোগ, সেই সময় স্পিকারের ঘরে গিয়ে হট্টগোল করেন তাঁরা। এর পরেই বিজেপির ১৫ জন বিধায়ককে বহিষ্কার করেন স্পিকার।

হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভার ভোটের পরই সে রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার হিমাচলে রাজ্যসভা আসনের ভোটে বিজেপির প্রার্থী হর্ষ মহাজন হারিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে। ৬৮ সদস্যের বিধানসভায় দু’পক্ষই ৩৪টি করে ভোট পাওয়ায় লটারির মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় হিমাচলে। বিজেপি এই আসন জয়ের পরই হিমাচলে সরকার টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সুখু সরকার।

হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের সরকার ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি। তার মধ্যেই বুধবার সকালে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংহ। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিক্রমাদিত্যের অভিযোগ, সুখবিন্দর নাকি বিধায়কদের উপেক্ষা করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বাবা তথা হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংহকেও সুখবিন্দর অসম্মান করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিক্রমাদিত্য।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ