জেলা 

শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি প্রক্রিয়া শুরু করল পুলিশ! লুট ও ভাঙচুরের অভিযোগে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশের পর সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের গ্রেফতারি প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য পুলিশ বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন যে শাহজাহান শেখকে কাজে লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস বসিরহাট সহ সমগ্র উত্তর চব্বিশ পরগনায় রাজ কায়েম করে রেখেছিল জনমতের চাপে শেষ পর্যন্ত সেই শাহজাহানকে আর কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করতে চলেছে বলে জানা গেছে।

ইতিমধ্যে শিবু হাজরা, উত্তম সরদার এবং অজিত মাইতির মতো শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আজ সোমবার সন্দেশখালি থানায় এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গৌর দাস নামের এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর হয়েছে।নতুন এফআইআরে শাহজাহানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। তিনি ৮০ হাজার টাকা লুট করেছেন বলে দাবি অভিযোগকারীর। এ ছাড়া, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিশ।

Advertisement

উল্লেখ্য, সোমবারই কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্য পুলিশ। তাতে কোনও বাধা নেই। আদালত তেমন কোনও নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, আদালতের নির্দেশের কারণেই শাহজাহানকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না। শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। ইডি তাঁকে ধরতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ফলে পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে আদালতই।’’

তবে শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অনেকটা দেরি করে ফেলেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে যাচ্ছে, রিজওয়ানুর রহমানের কেসের সময়। তিলজলার সন্তান রিজওয়ানুর রহমানের মৃত্যুর জন্য বিরোধী দল সহ জনমত পুলিশকে দায়ী করছিল কিন্তু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সেই সময় পুলিশকে এই দায় থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে গেছেন। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্ট এবং জনমতের চাপে তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দেওয়া হয় তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। তারপর থেকেই এই রাজ্যের জনতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সিপিএম দল।।

একইভাবে সন্দেশখালি কাণ্ডের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দ্রুত শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেন তাহলে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতো এখন আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। বরং শাজাহান গ্রেফতার হলে তার ফলে আরো পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে যে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে পড়তে হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ