উত্তরপ্রদেশে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস! নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাহুলের চাপে কি বাতিল?
বাংলার জনরব ডেস্ক : দুর্নীতি মুক্ত ও স্বচ্ছ ভারত গড়ার কারিগর বলে দাবি করা বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যে গুজব ছড়িয়ে ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল তা সত্য বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরীক্ষা হয়েছিল ১৭ ই ফেব্রুয়ারি ও ১৮ই ফেব্রুয়ারি।
গত শনিবার ও রবিবার। ১৬ ই ফেব্রুয়ারি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা প্রথমে উত্তর প্রদেশ সরকার স্বীকার করেনি আজ শনিবার কার্যততা স্বীকার করে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যোগী আদিত্যনাথ জানিয়ে দিলেন আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই পরীক্ষা ফের নেয়া হবে। এই পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বেকার যুবকরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। যার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘লখনউ থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত পুলিশে নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে যুবকরা রাস্তায়। মাত্র ১০০ কিমি দূরে বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী যুবাদের বিভ্রান্ত করছেন। বারাণসী স্টাইলে বললে মোদিজি দিদাকে মামাবাড়ির হাল শোনাচ্ছেন।’
হাওয়া বুঝে এক্স হ্যান্ডেলে পুলিশে নিয়োগে নিয়ে মুখ খুলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি লেখেন, ‘রিজার্ভ সিভিল পুলিশের পদে নিয়োগের পরীক্ষা-২০২৩ বাতিল করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হবে, এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ যোগী হুঙ্কার দেন,
‘পরীক্ষায় কোনওরকম গোলমালে আপস করা হবে না। প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ যোগী আদিত্যনাথ এর আজকের ঘোষণা এটাই স্পষ্ট হয়েছে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সত্যিই ফাঁস হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন ৬ মাসের মধ্যে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে কিন্তু দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ সফর চলাকালীন সময়ে রাহুল গান্ধী এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সভায় বলতে শুরু করেছিলেন পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যুবসমাজ যখন রাস্তায় তখন নীরব রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
রাহুল গান্ধীর এই বার্তা উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তাই প্রথমে অস্বীকার করে শেষ পর্যন্ত কার্যত প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করে নিয়ে পুরো পরীক্ষাটাই বাতিল করে দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।